বিপিএল চলাকালেই পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। যদিও বিপিএল ভিন্ন একটি টুর্নামেন্ট এবং এর সঙ্গে জাতীয় দলের নির্বাচকদের জড়িত থাকার কথা নয়, তবুও ভক্তদের মনে প্রশ্ন- কেন বিপিএল বিতর্কের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন হান্নান?
গতকাল শনিবার রাতেই বিসিবিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন হান্নান সরকার। এরপর গণমাধ্যমগুলো সে খবর প্রকাশ করে। তবে কেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ক্রিকেটের গুরু দায়িত্ব ছাড়লেন, সে প্রশ্নের উত্তর জানতে হান্নান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জাগোনিউজ।
এই প্রতিবেদকের ছুড়ে দেওয়া প্রশ্নের জবাবে হান্নান সরকার বলেন, ‘আসলে আমি কোচিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে আগ্রহী। দল নির্বাচন আর কোচিং তো একসঙ্গে করা যায় না। তাই আমি নির্বাচকের পদ থেকে সঁরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আপাতত কোথায় কোচিং করাবেন, কিছু ভেবেছেন কি?
হান্নানের জবাব, ‘আমার প্রথম পছন্দ হলো বিসিবিতে কাজ করা। আমি বোর্ডের চুক্তিভুক্ত কোচ হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। কথা বলে দেখবো। যদি বিসিবিতে কোনো কোচিং প্রোগ্রামের অংশদার হতে পারি, তাহলে সেখানেই কাজ করবো। না হয় প্রিমিয়ার লিগে কোনো দলের সাথে চুক্তিভুক্ত হবো।’
‘মার্চে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট, সেখানেই কোনো ক্লাবের হয়ে কাজ করতে চাই। তাই তার আগে কোন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে চাচ্ছি’- যোগ করেন হান্নান।
হান্নান সরকার কোচিংকে পেশা নেওয়ার কথা বলে নির্বাচক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও ক্রিকেটপাড়ায় অন্য কথাও শোনা যাচ্ছে।
তা হলো, বিসিবিও হান্নানের ওপর নাখোশ। কারণ, হান্নান সরকার কিছুদিন আগে বিপিএলের এক ম্যাচে এক টিভি চ্যানেলে এক্সপার্ট কমেন্টেটর হিসেবে কথা বলতে গিয়ে এক স্পিনারের প্রসঙ্গে বলে বসেন ‘অমুকের তো’ বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই তিনি আজকের ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
যা টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক ও বিসিবির অভ্যন্তরীণ খবর ফাঁস করে দেওয়ার নামান্তর। তাই বিসিবি সেটা ভালোভাবে নেয়নি।
ভেতরে খবর হলো, হান্নানকে সে কারণে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে হান্নানের মন খারাপ। একইসঙ্গে তিনি বিকল্প পথে হাঁটার চিন্তা শুরু করেছেন।
এআরবি/এমএইচ/জিকেএস