বিমানে উঠলেই প্রথম যাদের দেখা মেলে, তারা হলেন কেবিন ক্রু। সুন্দর হাসি দিয়ে স্বাগত জানান, খাবার-দ্রব্য সার্ভ করেন, আবার মাঝে মধ্যে নির্দেশনাও দেন—এই দৃশ্যটা আমাদের সবারই চেনা। তাই অনেকেই ভাবেন, কেবিন ক্রুদের কাজ বুঝি এটুকুই।
কিন্তু জানেন কি? তাদের কাজ আসলে এর অনেক বেশি! চোখের আড়ালে তারা এমন সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান, যা আপনার ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ, আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত।
আরও পড়ুন : কোন জিনিস কতদিন ব্যবহার করা নিরাপদ
চলুন, জেনে নেওয়া যাক কেবিন ক্রুদের আসল কাজগুলো কী কী!
ভদ্রতার আড়ালে নজরদারি!
বিমান বিশেষজ্ঞরা বলেন, কেবিন ক্রুরা শুধু আপনাকে স্বাগত জানান না, তারা আসলে আপনাকে খেয়াল করেও দেখেন। যেমন কেউ অসুস্থ কি না, খুব নার্ভাস বা মাতাল কি না, এমনকি কারও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে সেটাও তারা বুঝে নেন।
মদ্যপান করলে কী হয়?
ফ্লাইটে কেউ অতিরিক্ত মদ্যপান করলে তা শুধু তার নিজের জন্য না, পুরো ফ্লাইটের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। যেমন কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন, মারামারি বা বিশৃঙ্খলা করতে পারেন, এমনকি বিমান ছাড়তেও দেরি হতে পারে। এজন্য দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই কেবিন ক্রুরা ক্যাপ্টেন বা গ্রাউন্ড স্টাফদের জানিয়ে দেন।
জরুরি সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকেন
কোনো যাত্রী যদি আচরণে সমস্যা করেন, যেমন—চিৎকার করা, কথায় না শোনা, এমনকি মারমুখী হয়ে ওঠেন, তখন তাদের সামলানোর দায়িত্ব কেবিন ক্রুদেরই। আবার যদি কখনো জরুরি অবস্থা তৈরি হয়, তখন কেবিন ক্রুরা ঠিক করে নেন, কে কে যাত্রীদের সাহায্য করতে পারবেন। মানে, যারা শারীরিকভাবে ফিট এবং সহযোগিতা করতে আগ্রহী, তাদের আগেই চিহ্নিত করে রাখেন।
আরও পড়ুন : যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন কেউ গোপনে আপনাকে ভালোবাসে
সব মিলিয়ে বলা যায়, কেবিন ক্রুরা শুধু হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান না, তারা আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। তারা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, যেন যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং দক্ষভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
চা-কফির বাইরে তাদের দায়িত্ব যে কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা যায় তখনই যখন কোনো সমস্যা হয়। কেবিন ক্রুরা আছেন বলেই আমাদের আকাশপথের ভ্রমণ হয় নিরাপদ, আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক।
আরও পড়ুন : পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন, জেনে নিন কেন