আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের জিনিসপত্র ব্যবহৃত হয়—তার মধ্যে কেরোসিন তেল অন্যতম। রান্না, জ্বালানি কিংবা আলো জ্বালানোর কাজে এটি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সমাজে অনেকের মুখে শোনা যায়, ‘কেরোসিন তেল নাপাক, এটা কাপড়ে লাগলে নামাজ হয় না।’ আবার কেউ কেউ মসজিদের ভেতরে কেরোসিন নেওয়াকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে মনে করেন। ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, আসলে ইসলামি শরিয়তে কেরোসিন তেলকে কি নাপাক বলা হয়েছে?
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ কালবেলাকে বলেন, কেরোসিন তেল একটি খনিজ পদার্থ। এটি প্রকৃতিগতভাবে পবিত্র হলেও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত। আর সেই দুর্গন্ধের কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মসজিদে এটি নেওয়া মাকরূহ—অর্থাৎ নিরুৎসাহিত। তবে এটা নাপাক নয়। অনেকেই দুর্গন্ধের কারণে একে নাপাক মনে করেন, কিন্তু শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি ভুল ধারণা।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো কারণে কেরোসিন তেল মসজিদে নিতে হয়, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন তা মসজিদের কার্পেট, ফ্লোর বা জায়নামাজে না পড়ে। কারণ এতে দুর্গন্ধ ছড়াবে, যা মসজিদের পবিত্র পরিবেশের প্রতি অসম্মান। তেমনি যদি কেরোসিন কাপড়ে লাগে, তবে সেই কাপড়ে নামাজ পড়া অনুত্তম, তবে নামাজ বাতিল হবে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমামি : ১/৩৫১)

1 hour ago
4








English (US) ·