কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রীর রুমে হামলার অভিযোগ

3 months ago 23

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় রাজশাহী কলেজের এক ছাত্রীর রুমে হামলা চালিয়ে তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও ফেসবুকে ছাত্রলীগবিরোধী স্ট্যাটাস শেয়ারের জেরে ওই শিক্ষার্থীকে হোস্টেল থেকে বের হয়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী কলেজ ছাত্রী নিবাসের ১১১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রুকাইয়া আক্তার করবি। তিনি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম আসিয়া খন্দকার বন্দনা। তিনি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়াও তিনি রাজশাহীর-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোটবোন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়েছেন। এই নিয়ে কথা বলেছেন। অনেক সময় ফেসবুকে আসা ছাত্রলীগের নির্যাতনের স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। এই কারণে ছাত্রলীগ নেত্রী বন্দনা তার কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছেন। এর একটি ভিডিও তিনি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রীনিবাস থেকে হোস্টেল সুপারেরা চলে যেতে বলেছেন। কিন্তু তার বাড়ি দূরে হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে যেতে চান। এ নিয়ে তিনি হোস্টেল সুপারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় বন্দনা তেড়ে আসেন তার দিকে। সেখান থেকে গিয়ে তার কক্ষে থাকা জামাকাপড়, আসবাবপত্র ফেলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেত্রী আসিয়া খন্দকার বন্দনা বলেন, তিনি কারো কক্ষে গিয়ে কাপড়-চোপড় ফেলেননি। এ ধরনের কোনো ভিডিও সরবরাহ করা হলে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। কোটা আন্দোলন আসার পর পাল্টে যায়। এ নিয়ে তারা কিছু বলেননি।

জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত বলেন, কলেজ হোস্টেল এখন বন্ধ। সেখানে তাদের দলের কোনো শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষকরা সব শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশমতো সবাই চলে যাচ্ছেন। সেখানে ছাত্রলীগের কেউ কাউকে বের করেনি। আর বন্দনার ছাত্রলীগে কোনো পদ নেই। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে ভালো পদ পাবেন তিনি।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক বলেন, কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদেরও মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া আছে, তারা যেন চলে যায়। যে শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন তিনি চলেও গেছেন। যাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তারাও চলে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। সেখানে তাদের হোস্টেল সুপার ছিলেন। তারা কেউই কাপড়-চোপড় ফেলে দেওয়ার বিষয়টি দেখেননি।

সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article