ইউরোপে রপ্তানির জন্য বরিশাল থেকে পাঠানো ফরচুন সুজ লিমিটেডের কোটি টাকার জুতা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান মালিকের ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় দুটি কাভার্ডভ্যানে থাকা ১০ হাজার ৮১২ পিস জুতা উদ্ধার করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এসব জুতার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরচুন সু গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ছোট ভাই রবিউল ইসলাম (৪০), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রাজকর খানবাড়ির আব্দুর রব খানের ছেলে মু. জামাল হোসেন (২৯) এবং ঝিনাইদহ সদরের চোরকোল মধুহাটি গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে মো. শান্ত (২৬)। হোসেন ও শান্ত কাভার্ডভ্যান চালক।
ঘটনার বিষয়ে ফরচুন সুজ লিমিটেডের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় বলা হয়, ইউরোপের নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য বরিশালের কাউনিয়া বিসিক শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ফরচুন সুজ কারখানা থেকে জুতা দুটি কাভার্ডভ্যানে করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যান দুটি ভাড়া করেন প্রতিষ্ঠান চেয়ারম্যানের ভাই রবিউল ইসলাম।
গত ২৭ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে জুতাবোঝাই কাভার্ডভ্যান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ২৮ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তারা সেখানে পৌঁছায়নি। চালক এবং রবিউল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।
এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান চেয়ারম্যানের নির্দেশে ২৯ অক্টোবর বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান। মামলার সূত্র ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাভার্ডভ্যান ভর্তি জুতা উদ্ধারসহ দুই চালককে গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানার পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিউল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, রবিউল ইসলামের নির্দেশেই চালকরা জুতা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার বিকেলে বরিশালে আনা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

4 hours ago
9









English (US) ·