কোটিপতির মেয়ে হয়েও গরিব কোটায় সরকারি চাকরি!

2 months ago 28

কোটাবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ যখন উত্তাল, তখন প্রতিবেশী ভারতেও বিতর্কের ঝড় তুলেছে সরকারি চাকরিতে কোটা জালিয়াতির অভিযোগ। এই কাণ্ডের মূলে রয়েছেন পূজা খেড়কর নামে এক তরুণী। তিনি সরকারি চাকরি পেতে সংরক্ষণ কোটা জালিয়াতি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা চাকরি হারাতে পারেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ভারতীয় দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সংরক্ষণ কোটা সম্পর্কিত নথি জাল করার অভিযোগ উঠেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।

পূজার প্রার্থিতার নথি এবং অন্যান্য দাবিগুলো খতিয়ে দেখার জন্য গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একটি এক সদস্যের প্যানেল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পূজার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

সম্প্রতি পুনে শহরে সহকারী কালেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান পূজা খেড়কর। অফিসে তিনি তার ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করছেন অভিযোগ উঠলে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন এ তরুণী।

পূজা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-নীল বাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের একটি বোর্ড ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা ভারতীয় আইনের লঙ্ঘন।

কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করছে পুনে পুলিশ।

অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় ​​মোরের অফিস অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে। তিনি সম্মতি ছাড়াই ওই অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেন এবং অননুমোদিত সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কোটা জালিয়াতির অভিযোগ

২০২৩ ব্যাচের এই শিক্ষানবিশ আইএএস কর্মকর্তা নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় পাসের জন্য অক্ষমতা কোটার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কাজের সঙ্গে তার বাবা জড়িত অভিযোগ উঠলে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়।

পূজার বাবা দিলীপ খেড়কর সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেসময় নির্বাচনী হলফনামায় নিজের ৪০ কোটি রুপির সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবার এমন বিশাল সম্পত্তি সত্ত্বেও পূজা ইউপিএসসি পরীক্ষায় ওবিসি (পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী) কোটায় আসন নেন।

সাধারণ পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর যেসব পরিবারের বাৎসরিক আয় আট লাখ রুপির কম, তারাই ভারতের সরকারি চাকরিতে নন-ক্রিমি লেয়ার কোটা পেয়ে থাকেন।

উপরন্তু, দিলীপ খেড়কর তার মেয়ের দাবি পূরণের জন্য পুনে কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যেই খেড়কর পরিবারের একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, পূজার মা মনোরমা খেড়কর বন্দুক নিয়ে একদল পুরুষকে হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে এরই মধ্যে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ।

কেএএ/

Read Entire Article