বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আশরাফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, আশরাফের স্ত্রী টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। তা ধীরে ধীরে ক্যানসারে রূপ নেয়। তাকে দেখভাল করার মতো তেমন কেউ নেই। তার দুই মেয়ে রয়েছে। তাই আশরাফকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল তখন জানতে চান, তার পরিবারে অন্য আর কেউ কি নেই? জবাবে আইনজীবী বলেন, আশরাফের পরিবারে আর তেমন কেউ নেই। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আছেন। তবে অর্থের জোগান ও যত্ম নেওয়ার বিষয় রয়েছে। এছাড়া মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।
এসময় প্রসিকিউশন বা রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, মামলার এ পর্যায়ে কাউকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া শেখ হাসিনার মামলার বিচারকাজে আমরা হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সেই নির্মম দৃশ্য তুলে ধরেছি। তার মরদেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যা প্রসিকিউশনের পক্ষে ডুবুরি দিয়ে খুঁজেও পাওয়া যায়নি।
প্রসিকিউটর তামিম জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে অংশ নেন হৃদয়। ওই দিনই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুলিশ। তখন কোনাবাড়ী থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন আশরাফ। তার পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় এসব হয়েছে। তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আশরাফের জামিন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মামলায় শুনানির জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। এর মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এফএইচ/একিউএফ

3 hours ago
6









English (US) ·