কোনো পক্ষেই থাকতে চান না আইনজীবী সমাজী

3 hours ago 4

পেশাগত মর্যাদাকে প্রাধান্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো পদে বা পক্ষে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। তবে আমি নিয়োগের বিষয়ে অবগত নয়। যদি নিয়োগের সংবাদ সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমি কতিপয় অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করতে যাই। এখন পেশাগত মর্যাদা সমুন্নত রাখা ও সব প্রকাশ বির্তক এড়ানোর উদ্দেশ্যে এ পদে যোগদান না করায় সমীচীন। সার্বিক পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালে কোনো পক্ষে মামলা পরিচালনা না করাটাই শ্রেয়।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করতে যান এহসানুল হক সমাজী। শুনানি শুরু হলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে মেনশন করে বলেন, আসামি পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে যাচ্ছেন বলে জেনেছি। ২/১ দিনের মধ্যেই হয়তো সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। তাই তিনি আসামি পক্ষে শুনানি করলে এটা হবে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। এসময় তাজুল ইসলাম তাকে আসামি পক্ষে শুনানি না করতে অনুরোধ জানান।

এরপর এহসানুল হক সমাজী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আমি এখনো ফরমাল কোনো লেটার পাইনি। ফরমাল লেটার না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। এছাড়া যে পদে আমাকে নির্বাচিত করা হবে সেটা আমি গ্রহণ করি কি না তাও ভাববার বিষয়।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট এহসানুল হক সমাজীকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে অভিহিত করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। পরে ২৯ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আর যোগদান করেননি।

জেএ/এমএএইচ/জিকেএস

Read Entire Article