দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোম্পানি কমান্ডার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় এক যুদ্ধে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। এদের একজন রিজার্ভ ফোর্সের মেজর মোশিকো ম্যাক্সিম রোজেনওয়াল্ড (৩৫)। তিনি নাহাল ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরজন সৈনিক। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এ দুজন কীভাবে নিহত হলেন- তা জানায়নি সেনাবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের মোট সংখ্যা ৮১৭ জনে পৌঁছাল।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী আরও কঠোর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। কারণ, দেশটির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে তারা। দেশটিতে এবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা জানিয়েছে, তারা সেন্ট্রাল ইসরায়েলকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে এ হামলা অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
টেলিভিশনে এক বার্তায় হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্যালেস্টাইন-২ নামে সোমবার একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশটির হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমানা অতিক্রম করার আগেই ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য সতর্কতা বেজে উঠেছিল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্রের সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, হামলাটি সফলভাবে নিশানায় পৌঁছেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।