নাজমুল হাসান পাপনকে সরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি করা হয় ফারুক আহমেদকে। বিসিবির আগের বোর্ডের বেশ কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করেন, বেশ কয়েকজনকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। যার ফলে নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদরা তুমুল চেষ্টা করেও বিসিবিতে গতি ফিরিয়ে আনতে পারছেন না। অনেকটা জোড়াতালি দিয়েই বিসিবি চলছে বলে স্বীকার করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বিসিবিতে গতি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশার কথা জানান।
মন্ত্রণালয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা তার অধীন মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন বিষয় ও দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিসিবি প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এটা ঠিক যে কিছুটা জোড়াতালি দিয়েই চলছে বিসিবির কার্যক্রম। আমি যখন দায়িত্ব নিই, তখন বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কারও সঙ্গে যে পরামর্শ করব, সেই লোকই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গঠনতন্ত্রেও অনেক জটিলতা ছিল। তখন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, আইসিসির নির্দেশিত ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী নিয়মের মধ্য থেকে আমরা বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি।’
বিসিবির পুনর্গঠন খুব সহজে করতে না পারার কারণ হিসেবে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন পরিচালক নিতে হবে। সেটাতেও সমস্যা আছে। বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠনের কাজ চলছে। সেগুলো হলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আরও পরিচালক আসবেন। বিসিবির বিভিন্ন বিভাগও পুনর্গঠিত হবে। এর মাধ্যমে বিসিবির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে।’
প্রতিটি ক্রীড়া ফেডারেশনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা আবারও উল্লেখ করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ফেডারেশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিবছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট দেওয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ফুটবলসহ বেশ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’
আর্থিকভাবে শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড কেন নিজেদের টাকায় স্টেডিয়ামের সংস্কার করছে না, এমন এক প্রশ্নে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘স্টেডিয়ামগুলো সরকারে অধীন। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার আমাদের দায়িত্ব। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেনাপাওনার বিষয় থাকলে সেটি আমরা আলাদাভাবে দেখব।’
আইএইচএস/