ক্রীড়া পরিদপ্তরে অভিযান চালাচ্ছে দুদক
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয়েছে এই অভিযান।
দুই সদস্যের আভিযানিক দলে রয়েছেন দুদকের সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হাসান ও উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালবেলা ‘বরাদ্দের ১০০ ভাগই লুট, বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশে ক্রীড়ার প্রসার, উন্নয়ন ও মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দেশের ৬৪ জেলায় বাস্তবায়ন হয় বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্প। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর এ প্রকল্পের দায়িত্বে।
পরিকল্পনায় বলা হয়, তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেছে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক দল তৈরি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্প শুধু কাগজেই থেকে গেছে। মাঠে কার্যক্রম নেই, বরাদ্দের টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
অভিযোগ আছে, ১০০ ভাগ টাকাই আত্মসাৎ হচ্ছে বছরের পর বছর। কালবেলার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। বরাদ্দের টাকার হিসাব আগে থেকেই শেষ দেখানো হয়। একই বিল-ভাউচার দিয়ে একাধিকবার টাকা তোলা হয়। নামপরিচয়হীন প্রশিক্ষকদের নামে সম্মানীর বিল করা হয়। পুরোনো মাস্টাররোল ব্যবহার করে বছর বছর নতুন বরাদ্দ তোলা হয়। অথচ ক্রীড়া পরিদপ্তরে প্রচুর জনবল থাকা সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে কোনো সাফল্য নেই।