ক্লাসিকোর দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াল বার্সা

8 hours ago 9
এ যেন ঠিক সেই প্রতিক্রিয়াই, যা এক আহত দানবের হওয়া উচিত। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে এল ক্লাসিকো পরাজয়ের পর মনোবল ছিল চূর্ণ, ফ্লিকের বার্সেলোনা ছিল প্রশ্নের মুখে—এই দল কি সত্যিই লড়াইয়ে টিকতে পারবে? কিন্তু মন্টজুইকে এলচের বিপক্ষে মাঠে নেমে তারা দেখাল অন্য এক চেহারা। আগুনে শুরু, ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রণ আর তিন ফরোয়ার্ডের তিন গোল—৩–১ গোলের জয়ে ক্লাসিকোর ক্ষত মুছে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল বার্সা। ম্যাচের প্রথম আট মিনিট এলচের দাপটে বার্সেলোনা যেন বলই ছুঁতে পারছিল না। এদার সারাবিয়ার দল সাহসী প্রেসিংয়ে বার্সাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। কিন্তু এই আক্রমণাত্মক মানসিকতাই হলো তাদের বিপর্যয়ের কারণ। নবম মিনিটে এলচে রক্ষণের ভয়াবহ ভুলে বল কেড়ে নেন আলেহান্দ্রো বালদে, যিনি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পাস দেন লামিন ইয়ামালকে। ডান প্রান্ত থেকে ভিতরে ঢুকে ইয়ামাল তার বাঁ-পায়ের শটে বল পাঠান জালে। এর তিন মিনিট পর আবারও বিপর্যয়। পেদ্রোসার স্লিপে বল কেড়ে নেয় ফেরমিন, যিনি নিখুঁত পাস দেন ফেরান তোরেসকে। গোলরক্ষক ইনাকি পেনাকে পরাস্ত করতে কোনো ভুল করেননি ফেরান—স্কোরলাইন তখন ২–০, ম্যাচের গতি তখন বার্সার দখলে। তবুও এলচে হাল ছাড়েনি। নিজেদের খেলার ধরন বদল না করে তারা বল ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তার ফলও মেলে—প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুর্দান্ত লো শটে গোল করেন রাফা মির। স্কোর ২–১, এবং বার্সেলোনার জন্য মুহূর্তিক চাপ। তবে হাফটাইমের আগেই ফেরান তোরেসের এক শটে অবিশ্বাস্য সেভ করেন ইনাকি পেনা—নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে এক নস্টালজিক দৃশ্য যেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা হয় দারুণ ওপেন। দুই দলই পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু ফিনিশিংয়ের সূক্ষ্মতাই পার্থক্য গড়ে দেয়। দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বার সুযোগ পেয়ে আর মিস করেননি বার্সার ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস র‍াশফোর্ড। ফেরমিনের নিখুঁত ক্রস ধরে ডি-বক্সে জায়গা তৈরি করে বজ্রগতির শটে জালে পাঠান বল—দৃষ্টিনন্দন গোল, স্কোর ৩–১। এরপরও লড়াই থামায়নি এলচে। রাফা মিরের এক শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত। শেষ ১৫ মিনিটে রবার্ট লেভানডভস্কি নেমে মাঠে ফেরার বার্তা দেন, যদিও গোলের সুযোগ পাননি।
Read Entire Article