ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের জনগণ আর গ্রহণ করতে রাজি নন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এজন্যই নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ ব্যবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার দরকার হয় বলে জানান তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার প্রতিটি নাগরিকেরই আছে। তাদের মতাদর্শ তুলে ধরে জনগণের রায় চাইবেন, এটাতে আপত্তির কিছু নেই। নতুন প্রজন্মের যে তরুণরা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাচ্ছেন, তাদের আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা সামনে এগিয়ে যাক, দেশ ও জাতি তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু পাবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, ছাত্র সমন্বয়কদের মনোনয়নে এ সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্রদের দল গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন আছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এ কথাও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
‘ফলে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বা দল গঠনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবেন শুধু সেসব ব্যক্তি সরকার ত্যাগ করলেই সে দল সরকারি আনুকূল্য পাবে না, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য?’ যোগ করেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারবে, এমন দাবি করতে পারে না বলে মনে করি।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করলেও রাজনৈতিক দলসমূহ ও জনগণের কাছে সেটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ চায় নির্বাচনের সময় যেন লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড থাকে, সবার জন্য সমান সুযোগ থাকে, কোনো বিশেষ দল যেন সরকারি অর্থ ও সরকারের ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে, এ নিশ্চয়তা।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে জালাল উদ্দিন খান, আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী অপু চৌধুরী, কাজল আহমেদ, শিবলী খায়ের, আফরোজ আফগান তালুকদার, তৌহিদুল ইসলাম, প্রভাষক এসএম লুৎফর রহমান, গাজী মো. মিজবাহ উদ্দিন, শাহজাহান তালুকদার, আব্দুস সালাম মেম্বর, সোহেল আহমেদ রানা, ওস্তার মিয়া তালুকদার, এমএম হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এএএম/ইএ/জেআইএম