খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

4 hours ago 4
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন। শুধু খাদ্যাভ্যাসেই নয়, পরিবর্তন এসেছে খাবার পরিবেশনের ধরনও। খাবার খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে নানা বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে একটা হলো–খাবার যে প্লেটে পরিবেশন করা হচ্ছে, সেই প্লেটের আকার। তা ছাড়া আমরা খেতে বসে যতটা খাবার সামনে পাই, খাওয়ার পরিমাণও অনেকটা তার ওপর নির্ভর করে। অনেকে মনে প্রশ্ন করেন খাবার প্লেটের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে? বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এর উত্তর।  প্রতিবেদনে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাপেটাইট কন্ট্রোল অ্যান্ড এনার্জি ব্যালেন্স’ (ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি ভারসাম্য) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক জেমস স্টাবস বলেন, মানুষ যখন প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত আহার করেন, তখন তাদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অভ্যাস তৈরির ঝুঁকি থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে তার প্রভাব খারাপ হতে পারে। ব্রিটিশ ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ ক্লেয়ার থর্নটন-উড বলেন, ১৯৭০-এর দশকে একটা প্লেট গড়ে ২২ সেন্টিমিটার হতো। এখন তা বেড়ে ২৮ সেন্টিমিটার হয়েছে। তার মানে আমাদের খাবারের পরিমাণও বেড়েছে। তাছাড়া রেস্তোরাঁগুলোও বেশি খাবার পরিবেশন করছে। বাড়িতেও কি ঠিক একইভাবে খাবার পরিবেশন করা উচিত, তা নিয়েও মানুষ দ্বিধায় রয়েছেন। আমাদের কতটা খাবার খাওয়া উচিত? তবে সঠিক পরিমাণে কতটা খাবার খাওয়া উচিত, তা নির্ভর করে নানা বিষয়ের ওপর। যেমন : বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা। যারা শারীরিকভাবে বেশি পরিশ্রম করেন বা খেলোয়াড়, তাদের খাবারের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়। বিপরীতে, যারা অফিসকর্মীর মতো স্থির জীবনযাপন করেন, তাদের তুলনামূলক কম পরিমাণ খাবার প্রয়োজন হয়। ক্লেয়ার থর্নটন-উডের মতে, সারা দিনে কে কতবার খাচ্ছেন, কী কী খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে। আমাদের কতটা খাবার প্রয়োজন, তা মাপার সহজ উপায় রয়েছে। নিজের হাতের তালুই সেই হিসাব বের করে দিতে পারে। তার মতে, আপনার হাতের তালুর আকারের সমান মাংস বা মাছ, আর দুই হাত জোড়া করলে যতটা সবজি ধরা যায়— সেটুকুই আপনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ। এ ছাড়া সারাদিনে একমুঠো কার্বোহাইড্রেট (আলু, ভাত, পাস্তা ইত্যাদি) ও ফল খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে অধ্যাপক স্টাবস আবারের মতে, একজন সুস্থ নারী প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ক্যালোরি চাহিদা রাখেন। অন্যদিকে একজন পুরুষের প্রায় আড়াই হাজার ক্যালোরি প্রয়োজন। এ ভিত্তিতে কেউ কতটা খাবার খাবেন তা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Read Entire Article