খাবারের ফ্রিজে রক্তের ব্যাগ, কুমিল্লায় দুই হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

3 weeks ago 14

ডাক্তার, নার্স ও ল্যাব সহকারী না থাকা এবং নোংরা বেডে রোগীদের রাখাসহ নানা অনিয়মের দায়ে কুমিল্লা দুই হাসপাতালকে বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় অভিযান শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতাল দুটি হলো- কুমিল্লা নগরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার গ্রিনলাইফ হাসপাতাল ও বিউটি মেটার্নিটি ক্লিনিক। এসময় গ্রিনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৫ রোগীকে কুমিল্লা সদরসহ অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।

জেলা সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার টিকে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় রোগীর কক্ষগুলো অস্বাস্থ্যকর, বেডে চাদর নেই, জানালায় পর্দা নেই, রোগীর পাশে মনিটর বা অক্সিজেন নেই। অপারেশন থিয়েটারে নোংরা পরিবেশ, কাঠের আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। পোস্ট-অপারেটিভ কক্ষটিও অস্বাস্থ্যকর।

এছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৯ সালের পর আর নবায়ন করা হয়নি। পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও মেয়াদোত্তীর্ণ। খাবারের ফ্রিজে রাখা হয় রক্তের ব্যাগ। এছাড়াও এই সময় ছিল না কোনো ডিউটি ডাক্তারের উপস্থিত। নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের বৈধ নিয়োগপত্রও দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও গত ৬ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিদর্শন টিম সদর উপজেলার গাংচর এলাকার বিউটি মেটার্নিটি ক্লিনিকে গিয়ে একাধিক অনিয়ম খুঁজে পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ল্যাবে কালার কোডেড বিন নেই, অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স ও ইনচার্জ অনুপস্থিত, ল্যাব টেকনোলজিস্ট উপস্থিত ছিলেন না, ওটি রুমের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর।

কুমিল্লা জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, এমন নোংরা পরিবেশে কীভাবে চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেন তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এসব অনিয়মের কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বিউটি মেটার্নিটি ক্লিনিকটি ও গ্রিনলাইফ হাসপাতালের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।

জেলায় এমন অসংখ্য হাসপাতাল রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকারিয়া মাহমুদ, মেডিকেল অফিসার ডা. সরিফুল ইসলাম পিয়াস ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. শফিকুল ইসলাম।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এএসএম

Read Entire Article