খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের হাতাহাতি

1 month ago 13

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা বাতিল এবং জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালে হাইকোর্টে ব্যাপক হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। মামলার বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে হাইকোর্ট আগামী রোববার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় খায়রুল হককেও আসামি করা হয়।

পরে গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। তবে খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন শুনানিতে বলেন, হয়রানি করার জন্য তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়, যার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আইনজীবী আরও জানান, খায়রুল হক ২০১১ সালের ১৭ জুন প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যান। মামলার ঘটনার দিন, অর্থাৎ ১৮ জুলাই, তিনি আইন কমিশনের দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং তার বয়স ৮১ বছর। তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন এবং জামিন পেলে পলাতক হবেন না।

গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় খায়রুল হককে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এফএইচ/কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article