খালি পেটে তুলসী পানির কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা

তুলসী শুধু একটি সাধারণ পাতা নয়, এটি অনেকেই ‘ওষুধের রানি’ বলে ডাকে। প্রাচীনকাল থেকে Ayurveda বা আয়ুর্বেদের মধ্যে তুলসী পাতার পানির ব্যবহার করা হয়ে আসছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী ভেজানো পানি পান করলে শরীর ও মনের জন্য নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই, কী কী উপকারিতা আছে। তুলসী পানি পান করার উপকারিতা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায় তুলসীকে একটি প্রাকৃতিক ‘অ্যাডাপ্টোজেন’ হিসেবে দেখা হয়, যা শরীরকে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক শান্তি আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তুলসী পাতার ইউজেনল ও অন্যান্য উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলে সর্দি, কাশি ও ফ্লুর মতো সাধারণ অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তুলসী পানি ফুসফুসের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যায় আরাম এনে দিতে পারে। ডিটক্স ও কিডনির যত্ন নেয় এটি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবে কিড

খালি পেটে তুলসী পানির কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা
তুলসী শুধু একটি সাধারণ পাতা নয়, এটি অনেকেই ‘ওষুধের রানি’ বলে ডাকে। প্রাচীনকাল থেকে Ayurveda বা আয়ুর্বেদের মধ্যে তুলসী পাতার পানির ব্যবহার করা হয়ে আসছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী ভেজানো পানি পান করলে শরীর ও মনের জন্য নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই, কী কী উপকারিতা আছে। তুলসী পানি পান করার উপকারিতা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায় তুলসীকে একটি প্রাকৃতিক ‘অ্যাডাপ্টোজেন’ হিসেবে দেখা হয়, যা শরীরকে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক শান্তি আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তুলসী পাতার ইউজেনল ও অন্যান্য উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলে সর্দি, কাশি ও ফ্লুর মতো সাধারণ অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তুলসী পানি ফুসফুসের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যায় আরাম এনে দিতে পারে। ডিটক্স ও কিডনির যত্ন নেয় এটি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবে কিডনি থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে এবং কিডনি স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমায়। রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তুলসী ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। স্ট্রেস কমানো এবং রক্তনালীর প্রদাহ কমানোর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তুলসী পানির তৈরি পদ্ধতি ৫-৬টি তুলসী পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক গ্লাস পানি নিন এবং পাতাগুলো হালকাভাবে চেপে ভিজিয়ে রাখুন। রাতভর ভিজিয়ে রাখার পর সকালে খালি পেটে পানি ছেঁকে খেয়ে নিন। নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করলে আপনি ফলাফল অনুভব করতে পারবেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow