খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হচ্ছে

3 months ago 29

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার (২৩ জুন) বিকেলে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন।

এদিন দুপুরে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব জানান, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এর আগে গতকাল শনিবার তিনি জানিয়েছিলেন, দলের চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (২১ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দ্রুতই তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করে মেডিকেল বোর্ড।

সবশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখন চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেন। এরও আগে গত ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

রোববার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, যে আইনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে আইনে তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন বলেই ২০২০ সাল থেকে তার সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন। খালেদা জিয়া তার পছন্দমতো হাসপাতালে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

কেএইচ/এমকেআর/জেআইএম

Read Entire Article