বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) তিনি লন্ডন থেকে টেলিফোনে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের অবস্থা পূর্বের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থেকে ম্যাডাম মোটামুটি আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন। মানসিক প্রশান্তি উনার শারীরিক সুস্থতার পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি ভালো আছেন এটুকু বলা যায়। খুব সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এ কথা আমি বলব না। বাট, উনি যেকোনো সময়ের তুলনায় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি অনেকটা সুস্থ আছেন। আপনারা উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যেদিন উনাকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরত যাওয়ার উপযুক্ত মনে করবেন, ওইদিন তিনি ফিরবেন ইনশাল্লাহ।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডন যান। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি লন্ডনের ডেভেনশায়ার প্লেসে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়। লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বড় ছেলে তারেক রহমানের কিংস্টনের বাসায় উঠেন খালেদা জিয়া।
লন্ডন ক্লিনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক জন প্যাট্টিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ইউকের যে নিয়ম আছে, সেই নিয়ম মেনেই বাসায় উনার চিকিৎসা চলছে বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমি বলব, উনি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এবং আপনাদের সবার দোয়ায়, চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সর্বোপরি আমাদের সবার ঐকান্তিক আকুতি ও দোয়া-চেষ্টা তারই ফলোশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত উনার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে স্থিতিশীল আছে। এখানকার লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা নিয়মিতভাবে বাসায় উনাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। প্রতি সপ্তাহে উনাকে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণও করছেন বিভিন্ন ঔষধপত্র দিয়েছে যাতে উনি সুস্থতা বোধ করেন, সুস্থ হয়ে ওঠেন।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, চিকিৎসার দিকটা তো বললাম। প্রায় সাত বছর পরে উনি উনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, তাদের কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান এবং ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী, উনার দুই কন্যা তাদেরকে পাশে পেয়ে মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ আছেন। মানসিক সুস্থতা উনার শারীরিক সুস্থতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।