খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যোগ দিচ্ছে আরও দুটি বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডকে অধিকতর সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে আরো দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল ঢাকায় আসছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান জানান, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাজ্য থেকে একটি এবং সন্ধ্যায় চীন থেকে আরেকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। চেয়ারপারসনের পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন তার অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডকে অধিকতর সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে আরো দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল ঢাকায় আসছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবির খান জানান, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাজ্য থেকে একটি এবং সন্ধ্যায় চীন থেকে আরেকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
চেয়ারপারসনের পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেদিন তার অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।
৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর গত ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। চার মাস পর ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।
What's Your Reaction?