সুস্থতার জন্য দেশে ফিরতে খালেদা জিয়ার কিছুদিন বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত এবং খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে এই দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। শারীরিকভাবেও তিনি ভালো আছেন। ডাক্তাররা খালেদা জিয়ার প্রতিদিন খোঁজখবর নিচ্ছেন। নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছেন, সেগুলো করানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সবধরনের খোঁজখবর রাখছেন। তিনি দেশের মিডিয়ার পাশাপাশি বিবিসি, সিএনএনসহ ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার খবরও দেখেন। আমরা যা বলি সেগুলোও তিনি দেখেন। উনি এসব ব্যাপারে খুবই কনসার্ন। উনি যখন খুব কষ্টে ছিলেন, জেলে ছিলেন তখনো দেশের মানুষকে ছাড়া থাকেননি।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৮ বছর পর বিদেশে এসেছেন। তিনি স্বৈরাচারের নির্যাতন এবং নিষ্পেশনের কারণে জেলে একাকিত্বে সময় কাটানোর পর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কাজেই সুস্থতার জন্য কিছুদিন বিলম্ব হচ্ছে বা হবে। যখনই চিকিৎসকরা তাকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেবেন তখনই তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। এমনটা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান। এই তিনজনের যোগ্য উত্তরসূরি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। উনার আরও দুই জন নাতনি আছেন। অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত ও অত্যন্ত মার্জিত একজন সুশিক্ষিত। সর্বোপরি মানুষের প্রতি যে মমত্ববোধ সেটা আমি ছোটবেলা থেকে গত কয়েক দিনে দেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ! যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ শুধু বিএনপি নয়, দেশের মানুষ এটাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছে। ভবিষ্যৎই বলে দেবে জাইমা রহমান আগামীতে কতদূর যাবেন।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করে ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রমুখ।