খালেদা জিয়ার মামলা আগেই বাতিল হওয়া উচিত ছিল : দুদকের আইনজীবী

4 hours ago 4
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা আগেই বাতিল হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আসিফ হাসান। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের পর এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।  আসিফ হাসান বলেন, রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে সব আদালত স্বাধীন। সর্বোচ্চ আদালত যেটি ঠিক মনে করেছেন সেই রায় দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মামলা আগেই বাতিল হওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তিনি। আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিলে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ ছাড়া তারেক রহমানসহ যারা এই মামলায় আপিল করতে পারেনি তাদেরও খালাস দিয়েছেন আদালত।  বুধবার সকালে ১৭ বছর আগের এই মামলার রায় দেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দেন বেঞ্চের সব বিচারপতি। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ মামলায় নিম্ন ও উচ্চ আদালতে বিদ্বেষমূলক বিচার হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে আসামিরা তাদের ক্ষুণ্ণ হওয়া সম্মান ফিরে পাবেন।  রায় শেষে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করায় সাজানো মামলায় বেগম জিয়া নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করা হয় ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর নিয়মিত আপিল করা হয়। দাতব্য কাজের লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে যে দাতব্য সংস্থা চালু করা হয়; তার একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে হিসাব চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ জুন অ্যাকাউন্টটিতে কুয়েত আমিরের পাঠানো বিদেশি অনুদান আসে। এই অনুদানের অর্থ পরবর্তী দুই বছরে কোনো এতিমখানায় দান করা হয়নি। দুই বছর পর জিয়াউর রহমানের দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান এবং তাদের ফুপাতো ভাই মমিনুর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্ট গঠনের পর অনুদানটি দুই ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া এবং বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলোচিত এক-এগারো সরকারের সময় ট্রাস্টের জন্য কুয়েত আমিরের পাঠানো সেই অর্থের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। দায়ের করা হয় মামলা। যে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। সে বছর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকলেও পরবর্তিতে গতি পায় আবারও। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় হয়। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টে গিয়ে সেই সাজা হয়ে যায় ১০ বছর। এরপর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে যেতে হয় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে।
Read Entire Article