খুলনায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতার বাধা
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের পূর্বনির্ধারিত জনসংযোগে বাধা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিঘলিয়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মিন্টু মোল্লার নির্দেশে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা উপজেলার সব খেয়াঘাট বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব জনসমাবেশ ও রাজনৈতিক মিটিং মিছিল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহিন বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলায় পারভেজ মল্লিক এর জনসংযোগ ও বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারনায় যাওয়ার সময় মাঝিরগাতি খেয়াঘাট, কোলা কামারগাতি খেয়াঘাট, বেলেঘাট, লস্করপুর, মোকামপুর, মল্লিকপুর ও আবালগাতী ফেরিঘাটের নৌকা-ফেরিচালকদের ভয় দেখিয়ে পারাপার বন্ধ করে দেয় মিন্টু মোল্লা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নৌকাচালক কালবেলাকে জানান, মিন্টু মোল্লার লোকজন এসে খেয়াঘাটের সব নৌকা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলে, ‘তোরা যদি পারভেজ মল্লিকের লোকরে পার করিস তাহলে তোদের খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে, খেওয়াঘাটে আজীবনের জন্য নৌকা রাখতে দেব না।’
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মিন্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালের সমর্থক। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেলাল ও পারভেজ মল্লিক খুলনার ৪ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। আজিজুল বারি হেলালকে খুশি করতে মিন্টু এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহিন কালবেলাকে বলেন, আজ বিকালে দিঘলিয়ায় স্থানীয় বিএনপির কর্মীদের একটি প্রোগ্রাম ছিল। এদিন খুলনা ৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভেজ মল্লিক ও এখানে জনসংযোগের জন্য আসছিলেন। এ সময় কিছু রাজনৈতিক কর্মী খেয়াঘাট বন্ধ করে দিয়ে তাদের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে ইউএনও এবং নৌবাহিনীর সহায়তায় দ্রুত ঘাটগুলো চালু করি এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দিঘলিয়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মিন্টু মোল্লাকে একাধিকবার ফোন দিলেও সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন কেটে দেন।
পারভেজ মল্লিক বলেন, আমি কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় আসিনি। আমি এসেছিলাম বিএনপির ৩১ দফা জনগণের দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে। দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের ৩১ দফার প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে— এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য দুঃখজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। আজকের এই ঘটনা আমি জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে জানিয়েছি। দেখি এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।