খুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে দাম কমছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এছাড়া মুরগির দাম লাগামে থাকলেও মাছের দাম কমেনি গত এক সপ্তাহে।
রোববার (১০ আগস্ট) খুলনা নগরীর গল্লামারি, নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার ও জোড়াকল বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুঁইশাক ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা প্রতি পিস, লালশাকের কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১০০-১৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা আলিম বলেন, পাইকারি বাজারে সবজি খুব কম আসছে। এজন্য দাম একটু বেশি। অনেক সবজি আমরাও কিনে আনছি না। ক্রেতারা দাম শুনলে আর কিনতে চায় না। বৃষ্টির কারণে ব্যবসা একটু খারাপ যাচ্ছে।
গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা সরফুদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে মাছ নিয়ে বাজারে আসিনি। মাছের বেচাবিক্রি কমে গেছে। বেশি দামি মাছ উঠালে বিক্রি না হলে চালানের টাকা গচ্চা যায়। তবে দেশি মাছের দাম ফিডের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে। আর কিছুদিন আগে অনেক বৃষ্টি হওয়ায় ঘেরও ডুবেছে। এজন্য মাছ সংকটে দাম বেড়েছে।
নতুন বাজারে আসা শাহান আক্তার বলেন, মাছ-সবজির দাম বেড়েছে। এজন্য অল্প স্বল্প করে কিনেছি। বাজারে আসতে গেলেও ৩০-৪০ টাকা খরচ হয়। তাই মোটামুটি ৩-৪ দিনের বাজার একবারে করে নিয়েছি।
মিস্ত্রি বাজারে আসা কায়েস মাহমুদ বলেন, বাজার-সদায় করতে গেলে গুণে টাকা নিয়ে এলে হয় না। এক পদের সবজি কিনতেই ৫০-৬০ টাকা গুনতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেতের সবজির দাম কম, কিন্তু বেশিরভাগ সবজি ৪০-৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। মাছের দামও বেড়েছে। ছোট চিংড়ি আধা কেজি ২৯০ টাকায় কিনেছি।
পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল হক বলেন, শাক সবজির সরবরাহ নেই। বৃষ্টির কারণে আগের মতো ট্রাক ভরে সবজি আসছে না। সন্ধ্যার পর আড়তে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যেতো না। এখন গড়ে ৪-৫ ট্রাক সবজি আসে। বৃষ্টি কমলে ফলন ভালো হলে সবজির দাম এমনিতেই কমে যাবে।
আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস