খুলনায় আদালত চত্বরে ২ জনকে গুলি করে হত্যা: ৩ দিন পর পুলিশের মামলা

খুলনার আদালত চত্বরে দুজনকে গুলি করে হত্যার তিনদিন পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। নিহত দুজনের পরিবার মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) খুলনা থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা না করার বিষয়ে নিহত রাজনের পিতা এজাজ শেখ বলেন, বিচার তো আদালতে হয়ে থাকে। কিন্তু আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলে কার কাছে বিচার চাইবো? চারপাশে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসা এবং অফিস রয়েছে। এমন একটি জায়গায় নিরাপত্তার চিত্র যদি এমন হয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমি কোনো মামলা করবো না। আরও পড়ুনখুলনায় আদালত চত্বরে দু’জনকে গুলি করে হত্যা তিনি বলেন, মামলা করে কী হবে? আমার একমাত্র ছেলে, তাকে তো ওরা মেরে ফেলেছে। এখন মামলা করলে কী আমার ছেলেকে ফিরে পাবো? আমার বা আমার পরিবারের নিরাপত্তা কে দেবে? আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, তিনিই উত্তম বিচার কারনেওয়ালা। বন্ধুর উপকার করতে গিয়ে আমার ছেলে মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছে। জেলে থাকা অবস্থায় আমার ছেলেকে হত্যা ও অস্ত্

খুলনায় আদালত চত্বরে ২ জনকে গুলি করে হত্যা: ৩ দিন পর পুলিশের মামলা

খুলনার আদালত চত্বরে দুজনকে গুলি করে হত্যার তিনদিন পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। নিহত দুজনের পরিবার মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) খুলনা থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা না করার বিষয়ে নিহত রাজনের পিতা এজাজ শেখ বলেন, বিচার তো আদালতে হয়ে থাকে। কিন্তু আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলে কার কাছে বিচার চাইবো? চারপাশে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসা এবং অফিস রয়েছে। এমন একটি জায়গায় নিরাপত্তার চিত্র যদি এমন হয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমি কোনো মামলা করবো না।

আরও পড়ুন
খুলনায় আদালত চত্বরে দু’জনকে গুলি করে হত্যা

তিনি বলেন, মামলা করে কী হবে? আমার একমাত্র ছেলে, তাকে তো ওরা মেরে ফেলেছে। এখন মামলা করলে কী আমার ছেলেকে ফিরে পাবো? আমার বা আমার পরিবারের নিরাপত্তা কে দেবে? আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, তিনিই উত্তম বিচার কারনেওয়ালা। বন্ধুর উপকার করতে গিয়ে আমার ছেলে মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছে। জেলে থাকা অবস্থায় আমার ছেলেকে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ছয়টি মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আজ আমার ছেলে সন্ত্রাসীদের গুলিকে নিহত হয়েছে।

নিহত হাসিবের ছোট ভাই সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা মামলা করবো না। নিহত হাসিবের দুই শিশু কন্যাসহ পরিবারের নিরাপত্তার কারণেই আমরা মামলার দিকে যাচ্ছি না। তাছাড়া হত্যায় জড়িত সন্দেহে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী। তাকে হয়রানি করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুমন হাওলাদার।

খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনের পরিবারের কেউ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে সোনাডাঙ্গা থানার একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজন ও হাসিব। এ সময় দুর্বৃত্তরা হাসিব ও রাজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করে।

আরিফুর রহমান/ইএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow