নতুন বছরের শুরু থেকেই খুলনায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সপ্তাহ পার হলেও শীতের প্রভাব রয়ে গেছে। ফলে গরম কাপড়ের জন্য ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন শহরের ফুটপাত ও মার্কেটে।
নগরীর ডাকবাংলো, জব্বার মার্কেট, হকার্স মার্কেট, স্টেডিয়াম পাড়া, আদালত পাড়া, দৌলতপুর, ফুলবাড়িগেট, ময়লাপোতা, রূপসাসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর জমে উঠে মার্কেট। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এই সুযোগে গরম কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
নিক্সন মার্কেট আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে সোয়েটার কিনতে এসেছি। প্রতি বছর বাচ্চাদের জামা কিনতে হয়। তবে শীত বেড়ে যাওয়ায় সোয়েটারের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গেল বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি এবার।
হকার্স মার্কেটে আসা শ্রমজীবী রাজ্জাক আলী বলেন, আমার প্রতিদিন ভোরে ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় আসতে হয়। সে সময়ে অনেক ঠান্ডা থাকে। তাই প্যারাসুট কাপড়ের একটা জ্যাকেট কিনেছি। দাম একটু বেশি।
ডাকবাংলো মোড়ে আসা গৃহিণী সাদিয়া আফরিন বলেন, এবার মোটা জাতীয় সোয়েটার কিনতে হবে। শীত মানাচ্ছে না। সেই সঙ্গে মোজা-টুপিও কিনেছি। মোজা-টুপির দাম তুলনামূলক কম।
ডাকবাংলো ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা আব্দুল কাদের বলেন, এই ফুটপাত গরিবের মার্কেট। এখানে সব প্রকারের মানুষ তার পছন্দমতো গরম কাপড় কিনতে পারেন। ভালো মানের কাপড়ও পাওয়া যায়। এ বছর হঠাৎ শীত একটু বেশি হওয়ায় শীতের পোশাকের দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে।
দেীলতপুরের চিত্রালি মার্কেটে আসা নূর হাসান জনি বলেন, বাসার মানুষের জন্য মার্কেট করতে এসেছি। ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলেই কিনে নেবো।
নিক্সন মার্কেটের ব্যবসায়ী মামুন আহমেদ বলেন, বছরে একটা সময় শীতের জামা কাপড় আনি। সবকিছুর দাম বাড়তি। পরিবহন, বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া, কর্মচারী খরচ এগুলো দিয়ে আমাদের ব্যবসা চালাতে হয়। সে তুলনায় এবার সব জিনিসের বেশি দাম। তাও আমরা সীমিত লাভ করি।
হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বিক্রি ভালোই হচ্ছে। শীত বেশি পড়াতে সব বয়সের মানুষ গরম কাপড় কিনতে আসছেন। এ বছর লোকসান তেমন একটা হবে না।
ফুটপাতে সোয়েটার নিয়ে বসা খায়রুল শিকদার বলেন, সকালে দোকান খুলে বসি। কিন্তু বিকেলের দিক থেকে কাস্টমার বেশি আসে। চার-পাঁচদিন ধরে বিক্রি বেড়েছে।
ডাকবাংলো মোড়ে মোজা-টুপি বিক্রি করছেন সবুজ মোল্যা। তিনি বলেন, মোজা আর টুপি অনেক বিক্রি হচ্ছে। শীতের শুরু দিয়েই মোজা-টুপির চাহিদা অনেক থাকে। এবারে বাচ্চাদের জন্যও নানান ডিজাইন রঙের বাবু টুপি আর মোজা স্টকে রাখছি।
জব্বার মার্কেটের দর্জি গৌতম বলেন, সন্ধ্যার পর জ্যাকেট, জামা, প্যান্ট কাটিংয়ের জন্য অনেক মানুষের ভিড় লেগে যায়। নানান বয়সের মানুষ আসেন তাদের জামা কাপড় ছোট আবার ফিট সাইজ করাতে। এবার মার্কেট জমজমাট।
মো.আরিফুর রহমান/জেডএইচ/এমএস