খুলনায় সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি সবজির

শীতের সবজিতে খুলনার বাজার পরিপূর্ণ থাকলেও দাম কমেনি। উল্টো বেড়েছে অনেক সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির সরবরাহ আরও বৃদ্ধি না পেলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, মাছ ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম নাগালে এলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে। রোববার (২৩ নভেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, রূপসা বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, লালশাক ২৫-৩০ টাকা, পালংশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা কেজি, কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩০-৪০ টাকা পিচ দরে, টমেটো ৮০-১০০ টাকা কেজি, শিম ৭০-৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে, কাঁচামরিচ মানভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা দরে এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে

খুলনায় সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি সবজির

শীতের সবজিতে খুলনার বাজার পরিপূর্ণ থাকলেও দাম কমেনি। উল্টো বেড়েছে অনেক সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির সরবরাহ আরও বৃদ্ধি না পেলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, মাছ ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম নাগালে এলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, রূপসা বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, লালশাক ২৫-৩০ টাকা, পালংশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০ টাকা কেজি, কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩০-৪০ টাকা পিচ দরে, টমেটো ৮০-১০০ টাকা কেজি, শিম ৭০-৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে, কাঁচামরিচ মানভেদে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা দরে এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই আকারভেদে ২২০-২৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা দরে, পাঙাশ ১৬০-১৮০ টাকা, কাতল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি এবং ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ ভরপুর নেই। এজন্য মূলত সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক সবজি ঢাকায় চলে যাচ্ছে। অনেক অঞ্চলে সবজি উৎপাদন নেই বললেই চলে। গত সপ্তাহের সবজির দাম এবং এ সপ্তাহে সবজির দামে কোনো ব্যবধান নেই। তবে সরবরাহ আরেকটু বাড়লেই অনেক সবজির দাম কমে যাবে।

খুলনায় সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি সবজির

নতুন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা হামিদ শেখ বলেন, গত সপ্তাহে সব সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমেছে। তবে শীতের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সামনে আরও কমবে। তিনি আরো বলেন, পাইকারি পর্যায়ে সিম ও ফুলকপি ৬৫-৭০ টাকায় ক্রয় করতে হয়। টমেটো পাইকারি ৭০ টাকার নিচে কেজি নাই। আমরা আহামরি লাভ করতে পারি না। সামান্য লাভে সবজি বিক্রি করি।

নতুন বাজারে সবজি কিনতে আসা জামশেদ মিয়া বলেন, প্রতি সপ্তাহেই সবজির দাম বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লে নাকি দাম কমবে। কিন্তু বাজারে তো সবজির কমতি নেই। দুই পদের সবজির বদলে এক কেজি তেলাপিয়া মাছ লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজি কেনা এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্য একজন ক্রেতা অয়ন হালদার বলেন, সবজির দাম অনেক বাড়তি। তবে এ সপ্তাহে মাছ ও মুরগির দাম অনেকটা কম। বাজার তদারকি করলে সবজির দাম কমবে বলে আশা করা যায়।

আরিফুর রহমান/এমএন/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow