খেলাপির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ আইএমএফের

5 hours ago 6

দেশে খেলাপি ঋণ ক্রমেই লাগামহীন হয়ে পড়ছে। আগামী বছরের মধ্যে খেলাপি কমানোর আশ্বাস দিলেও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও গোপন করে রাখা বিপুল পরিমাণ খেলাপির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল।

তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠনসহ বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন ও প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

আইএমএফের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ড. এজাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর গোপন খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ প্রকাশিত হতে শুরু করে। চলতি বছরের জুনের শেষে দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকায়। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে সরকারি ব্যাংকের খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে, আর বেসরকারি ব্যাংকেও এ হার ১০ শতাংশের ওপরে।

বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল মুদ্রানীতির কাঠামো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার, তারল্য সহায়তা ও রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য নেয়। মূল্যস্ফীতি কমায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও সংস্থাটি সতর্ক করেছে দীর্ঘ মেয়াদে সংকোচনমূলক নীতি যেন বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি না করে।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের আর্থিক অবস্থান, ব্যাংক খাতে তারল্যসংকট, প্রভিশন ঘাটতি, পুনঃমূলধন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং সবুজ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানতে চায় আইএমএফের দল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, আইএমএফের পঞ্চম রিভিউ মিশন নিয়মিত ভিজিট করছে। তারা ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে তথ্য নিচ্ছে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার, তারল্য সহায়তা, রিজার্ভের ব্যবহার ও খেলাপি ঋণ কমানোর পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

ইএআর/এমএমকে

Read Entire Article