খেলাপির সংস্কৃতি নেই, তবুও এসএমই’র প্রধান চ্যালেঞ্জ ঋণপ্রাপ্তি

5 days ago 6

বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে খ্যাত ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ সিএমএসএমই রয়েছে, যা জিডিপিতে প্রায় ২৫ শতাংশ অবদান রাখে।

এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ খেলাপি হওয়ার সংস্কৃতি তেমন নেই। তবুও এখাতের উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত অর্থায়ন সংকটে ভুগছেন। প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়া। এ পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

খান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএমই উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যৎসামান্য ঋণ পান। আবার সেই ঋণের বিপরীতে উচ্চহারের সুদ গুনতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিছু ব্যাংক এক্ষেত্রে উদার নীতি অনুসরণ করলেও বেশির ভাগই তাদের অর্থায়ন করতে চায় না। এ খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান অনানুষ্ঠানিক হওয়ায় তারা ব্যাংকিং সুবিধা ও সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত থাকছে।

তারা জানিয়েছেন, এর আগে কটেজ এবং মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজকে এসএমই খাতের অন্তর্ভুক্ত করে এ খাতের নতুন নামকরণ করা হয়েছে— ‘কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই)। এর ফলে অতি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প যেগুলো একদিন প্রাতিষ্ঠানিক ঋণদান কার্যক্রমের বাইরে ছিল, তারাও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে।

গ্রাহকপ্রতি এসএমই ঋণের পরিমাণ মাত্র ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চে একটি নতুন মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০২৯ সালের মধ্যে তাদের মোট ঋণের কমপক্ষে ২৭ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে বরাদ্দ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্যোগের কথা বলা হলেও বাস্তবায়ন কম। ফলে সম্ভাবনার বিপরীতে এ খাত পিছিয়ে পড়ছে- দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। যেমন সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জামানতবিহীন ঋণ প্রদান বাধ্যতামূলক করা, ঋণপ্রক্রিয়া সহজতর করা, নীতিগতভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা চালু করা, ডিজিটাল রেকর্ড ও ক্রেডিট স্কোরিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ, ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সেবাগুলোকে সহজসাধ্য ও কার্যকর করতে হবে।

এর পাশাপাশি এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারি ক্রয়ে কোটা, কর ছাড়, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার, কৌশলগত অংশীদারত্ব, এসএমই-বান্ধব ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিধি প্রণয়ন এবং পণ্য ব্র্যান্ডিংয়ের মতো প্রস্তাব ও সুপারিশ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া এ খাতের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সরকারি নীতি সহায়তা ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ছে বলে মনে করা হয়।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এসএমই খাতে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি এখনো গড়ে উঠেনি। এরপরও এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি। এ খাতের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া আছে, তাও পুরোপুরি পাওয়া যায় না। এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থ পাওয়ার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টাকে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। আশা করি অর্থ উপদেষ্টা আমাদের প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করবেন।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই শিল্পখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানে উৎসাহী হয় না। অথচ যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে মেরে দিলেন কিংবা খেলাপি হলেন তাদের আবার ডেকে এনে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। এসএমই খাত শক্তিশালী হলে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে, কমবে দারিদ্র্য। কারণ এই খাত সরাসরি স্ব-কর্মসংস্থান তৈরি করে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে ১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। এছাড়া এ পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে যে ৫০০ কোটি টাকার ফান্ড পাওয়া গেছে তা ১৮টি ব্যাংক ও ৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাত্র ৬ শতাংশ সুদে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসএমই খাতে ব্যাংকগুলোকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ দেওয়ার নীতি, যুব তহবিল গঠন এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ।

তিনি বলেন, দেশের কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা এসএমই খাত। অথচ এখনও সবচেয়ে বেশি অবহেলিত অবস্থায় আছে এই খাত। উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়েও পান না। এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ও স্বল্প সুদে ঋণ পেতে পারেন তার জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। অথচ এখান থেকেও উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় আর্থিক সাপোর্ট পান না। আবার ব্যাংকগুলোকেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়- এসএমই উদ্যোক্তাদের যেন প্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়া হয়, কিন্তু ব্যাংকগুলো থেকেও ভালো সহযোগিতা পান না উদ্যোক্তারা। এছাড়া এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সজ্ঞায়নের ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে, যার কারণে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসএমই খাতকে গুরুত্ব না দিলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং এই খাতকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আর এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিলে যেমন ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান করা যাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করা যাবে।

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম বলেন, শিল্প খাতে শ্রমশক্তির প্রায় ৮০ শতাংশই এসএমই খাতের। বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সহজেই বলা যায়, পর্যাপ্ত অর্থায়ন ছাড়া এ খাতের বিকাশ ও উন্নয়ন সত্যিই অনেক কঠিন বিষয়। এজন্য আমরা বারবার এসএমইতে সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে অর্থায়নের কথা বলে আসছি। কিন্তু কোথাও স্বল্প সুদের ঋণ নেই। ১৪-১৬ শতাংশ সুদ দিয়ে এসএমইসহ কোনো উদ্যোক্তাই ব্যবসায় টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। সরকারি সংস্থা পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণদান কার্যক্রম চালালেও সেটি অপ্রতুল। পর্যাপ্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পিকেএসএফের সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

এসএমই খাতে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এসএমইদের ঋণপ্রাপ্তিতে বিদ্যমান সুদের চাপ কীভাবে আরো কমানো যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবার পরিসর কীভাবে আরো বাড়ানো যায়, সেটিও বিবেচনায় রাখা জরুরি । এসএমই খাতকে সেবা দেওয়ার জন্য দেশের ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা দরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আছে, তাতে কর্মসংস্থান বাড়ানো অতীব জরুরি একটি বিষয়। কারণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিহীন জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে না। স্থবির কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গতি ফেরাতে হলে এসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও বিনিয়োগের বিকল্প আর কিছু নেই।

সাকিফ শামীম বলেন, এজন্যই এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ৫ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। এসএমই খাতের জন্য পৃথক ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিধি প্রণয়ন করা উচিত। এ খাতের প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো অপরিহার্য। পরিপূরক ব্যবসার সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই-রা নতুন বাজার ও সম্পদ ভাগাভাগি করতে পারে।

তিনি বলেন, জেলাভিত্তিক এসএমই পণ্যের ব্র্যান্ডিং করার জন্য ‘এক জেলা এক এসএমই পণ্য’ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এসএমই খাতের উন্নয়নে নিয়মিত বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নানা কারণে গত কয়েক বছর যাবৎ এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর বেচা-বিক্রিতেও শ্লথগতি নেমে এসেছে। আগে হাজার হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করলেও বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ২-৩ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। ফলে এ শিল্প খাতে তারল্যপ্রবাহ আরও কমেছে। সরকারের এ খাতের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে কুটির শিল্পে প্রায় ৭৮ লাখ অতি ক্ষুদ্র (মাইক্রো), ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত চার দশকে দেশের এসএমই খাতের উৎপাদন ক্রমে বাড়ছে। আর গত দুই দশক দেশের জিডিপিতে এ খাতের অবদান বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। বর্তমানে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ। তারপরও দেখা যায় পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে উদ্যোক্তারা দক্ষতা বাড়ানোয় নজর দিতে পারেন না। ফলে তাদের দক্ষতা ঘাটতি তৈরি হয়। প্রযুক্তিগত জ্ঞানে তারা পিছিয়ে থাকেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে রাখে তাদের। কিন্তু এসএমই খাতের বিকাশ ঘটলে এবং উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগত মান উন্নত করা গেলে তা রফতানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা যায়। এতে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিও সুদৃঢ় হবে। হস্তশিল্প, কুটির শিল্প ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এছাড়া এসএমই খাতের যেসব পণ্য আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করে সেগুলোর জিআই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সাকিফ শামীম বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, এসএমই খাতের বিকাশ বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাত হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন।’অথচ অর্থায়নের ক্ষেত্রে এমএসএমই খুবই উপেক্ষিত একটা খাত। এ খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়। বর্তমানে উচ্চ সুদহার ও ঋণের পরিধি কম হওয়ায় চাইলেও এ খাতের উদ্যোক্তারা ব্যবসা বাড়াতে পারছে না। তাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, সামনের দিনগুলো যেন এসএমই সহায়ক করা হয়।

তিনি বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জেলাভিত্তিক আলাদা শিল্প পার্ক ও পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এসএমই বান্ধব সাব-কন্ট্রাক্টিং বিধিমালা হালনাগাদ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি)-তে নারী-উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা উন্নয়নে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রসার ও ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রদান এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

এমএএস/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article