খোলা হয়েছে পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলেছে ৩২ বস্তা টাকা

2 weeks ago 8
খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর মসজিদের ১০টি দান বাক্স ও ৩টি সিন্দুক থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনা কার্যক্রম।  শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে মসজিদের ২য় তলায় ঢেলে সকাল ৯টায় গণনা শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী গননা শেষে সন্ধ্যায় টাকার পরিমাণ জানা যাবে। গ্ননায় ৩৪০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন শিক্ষক ও স্টাফ, ৯ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন আনসার ব্যাটালিয়ন ১০ জন আনসার সদস্য, ১০০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতিবার তিনমাস পর খেলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮দিন পর খোলা হয়েছে। দেশি টাকার পাশাপাশি মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্স খোলা হয়েছে। প্রতিবার টাকা, স্বর্ণ-রূপার পাশাপাশি আলোচনায় থাকে মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া চিঠি নিয়ে। এসব চিঠিতে লোকজন জীবনের প্রাপ্তি, বিরহ-বেদনা, আয়- উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলালের আশা, রোগব্যাধী থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে। এর আগে গত ১২ এপ্রিল দানবাক্স গুলো খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। ৮ ঘণ্টা গণনা শেষে বিকেল ৫টায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যায়। পাগলা মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট দানের পরিমাণ ৯১ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। এদিকে গত ৪ জুলাই দেশ ও দেশের বাইরে থেকে দান করার জন্য চালু হয়েছে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের প্রচার দিয়ে প্রতারক চক্র বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাগলা মসজিদে দান করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ ও দেশের বাইরের অনেকেই দান করতে পারছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।
Read Entire Article