গণতদন্ত কমিশন গঠন করার এখনো সময় আছে : এবি পার্টি

23 hours ago 4

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি বলেছে, সরকারের প্রধান কাজ ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক বিচার ও আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের স্বার্থে প্রথমেই গণতদন্ত কমিশন গঠন করা। অনেক আগেই সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম গণতদন্ত কমিশন গঠনের। কিন্তু সরকার এখনো তা করেনি। কোনো কাজের শুরুতেই ভুল করলে তখন পুরো কাজটাই আর সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। এখনো সময় আছে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন করে আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানির মাধ্যমে যারা শহীদ হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি, আহতদের পুনর্বাসন ও অপরাধীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

বুধবার (২০ নভেম্বর) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে এবি পার্টির যুবপার্টি কর্তৃক আয়োজিত এক যুব বিক্ষোভে এ দাবি করেন এবি পার্টির নেতারা। সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন সঞ্চালনা করেন।

বিক্ষোভে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাহমুদ আযাদ, গাজীপুর জেলা ও মহানগর সদস্য সচিব সুলতানা রাজিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহ্বায়ক ইমরান হোসেন শিবলু প্রমুখ।

বিএম নাজমুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের রক্তের ওপর সরকার প্রতিষ্ঠিত। তিনি আহত ও শহীদদের তালিকা করে অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করে অপরাধীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, জুলাই আগস্টের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের কথা যাতে দেশের মানুষ জানতে পারে, কারা এই গণহত্যায় জড়িত, কারা খুনি তাদের সম্পর্কেও যেন জনগণ সঠিকভাবে জানতে পারে সে লক্ষ্যে অনেক আগেই আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম একটি গণতদন্ত কমিশন গঠনের এবং আমেরিকান কনভেনশনাল সিস্টেমে গণশুনানি করার। এই গণশুনানির মাধ্যমে গণকবরে যারা শহীদ হয়েছেন কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। এই গণতদন্তের মাধ্যমেই দেশের মানুষ জানতে পারবে শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবার ক্ষমতার লোভে কীভাবে গুম, খুন ও গণহত্যা চালিয়েছে। কীভাবে তারা দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।

Read Entire Article