গর্ভধারণে দেরি হলে ৯ পরামর্শ মেনে চলুন

10 hours ago 8

সন্তান ধারণের সক্ষমতা নারী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কিন্তু অনেক সময় শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, মানসিক চাপ বা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে গর্ভধারণে বিলম্ব হতে পারে। গাইনি ও অবস বিশেষজ্ঞ ডা. সাবরিনা সুলতানা মিষ্টি মনে করেন, নিজের শরীরকে বোঝা, সঠিক সময় জেনে প্রস্তুতি নেওয়া এবং কিছু সহজ অভ্যাস অনুসরণ করলে গর্ভধারণের জটিলতা অনেকটা দূর করা সম্ভব।

সম্প্রতি, তিনি তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, গর্ভধারণের আগে নিজের শরীরকে জানা সবচেয়ে জরুরি। বিশেষ করে ঋতুচক্রের সময়কাল ও নিয়মিততা সম্পর্কে সচেতন থাকলে গর্ভধারণের সময় নির্ধারণ সহজ হয়।

গর্ভধারণে সহায়ক ৯টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল-

১। ঋতুচক্রের তথ্য সংরক্ষণ

প্রতিমাসে পিরিয়ডের প্রথম দিনটি ক্যালেন্ডারে লিখে রাখলে ওভুলেশনের সময় নির্ধারণ করা সহজ হয়। ওভুলেশনের সময়েই গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

২। ওভুলেশনের সময় চেনা

সাধারণত পিরিয়ডের দুই সপ্তাহ আগে ওভুলেশন হয়। পরবর্তী পিরিয়ডের ১২-১৬ দিন আগে এটি ঘটতে পারে।

৩। ফার্টাইল উইন্ডোতে বিকল্প দিনে যৌনমিলন

ওভুলেশনের দিন ও আগের পাঁচ দিন- এই ছয় দিন হলো সবচেয়ে উর্বর সময়। বিকল্প দিনে সম্পর্ক স্থাপন গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৪। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

অতিরিক্ত বা কম ওজন উভয়ই উর্বরতাকে ব্যাহত করে। বিএমআই ১৮-২৫ এর মধ্যে রাখাই আদর্শ।

৫। ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন গ্রহণ

গর্ভধারণের প্রস্তুতিতে থাকা নারীদের প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা উচিত। এটি শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের বিকাশে সহায়তা করে।

৬। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

সবুজ শাকসবজি, ডিম, মাছ, দুধ, ডাল, ফলমূল ও দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৭। অতিরিক্ত ব্যায়াম কমানো

অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম ওভুলেশন ব্যাহত করতে পারে। তাই পরিমিত ব্যায়ামই যথেষ্ট।

৮। বয়সের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা

৩০ বছর পর থেকে ধীরে ধীরে এবং ৩৭ বছরের পর দ্রুত উর্বরতা কমে যায়। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা বয়স অনুযায়ী করা জরুরি।

৯। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা

নিকোটিন ও অ্যালকোহল নারী-পুরুষ উভয়েরই উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং ডিম্বাণু ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ডা. সাবরিনা পরামর্শ দিয়েছেন- ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারী ছয় মাস নিয়মিত সম্পর্কের পরও গর্ভধারণ না করলে বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করানো উচিত। আর ৩৫ বছরের নিচে হলে এক বছর চেষ্টা করার পরও ফল না এলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

এসইউজে/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article