গলতে গলতে পুরোপুরি বরফশূন্য হয়ে পড়ছে ভেনেজুয়েলা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সব হিমবাহ হারাতে পারে ভেনেজুয়েলা। দেশটির শেষ অবশিষ্ট হিমবাহ ‘হামবোল্ট’ বা ‘লা করোনা’কে আর হিমবাহ হিসেবে গণ্য করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রায়োস্ফিয়ার ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভ (আইসিসিআই) জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার আন্দিজ পর্বতে অবস্থিত হামবোল্ট হিমবাহটি এতটাই ছোট হয়ে গেছে যে এটিকে এখন ‘আইস ফিল্ড’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি আর নিজের ওজনেই প্রবাহিত হওয়ার মতো বড় নেই। গত এক শতকে ভেনেজুয়েলা অন্তত ছয়টি হিমবাহ হারিয়েছে। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, হামবোল্ট হিমবাহটির আয়তন একসময় ছিল প্রায় ৪৫০ হেক্টর, যা কমে মাত্র দুই হেক্টরেরও নিচে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে এবং দ্রুত গলছে বরফ। এতে একদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, অন্যদিকে পাহাড়ি অঞ্চলের পানির উৎসও হুমকিতে পড়ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, একবার কোনো হিমবাহ সম্পূর্ণ গলে গেলে সেটি আবার ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। ভেনেজুয়েলার ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও স্লোভেনিয়াও ভবিষ্যতে হিমবাহশূন্য দেশ হয়ে উঠতে পারে। তারা সতর্ক করে বলে

গলতে গলতে পুরোপুরি বরফশূন্য হয়ে পড়ছে ভেনেজুয়েলা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সব হিমবাহ হারাতে পারে ভেনেজুয়েলা। দেশটির শেষ অবশিষ্ট হিমবাহ ‘হামবোল্ট’ বা ‘লা করোনা’কে আর হিমবাহ হিসেবে গণ্য করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রায়োস্ফিয়ার ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভ (আইসিসিআই) জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার আন্দিজ পর্বতে অবস্থিত হামবোল্ট হিমবাহটি এতটাই ছোট হয়ে গেছে যে এটিকে এখন ‘আইস ফিল্ড’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি আর নিজের ওজনেই প্রবাহিত হওয়ার মতো বড় নেই।

গত এক শতকে ভেনেজুয়েলা অন্তত ছয়টি হিমবাহ হারিয়েছে। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, হামবোল্ট হিমবাহটির আয়তন একসময় ছিল প্রায় ৪৫০ হেক্টর, যা কমে মাত্র দুই হেক্টরেরও নিচে নেমে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে এবং দ্রুত গলছে বরফ। এতে একদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, অন্যদিকে পাহাড়ি অঞ্চলের পানির উৎসও হুমকিতে পড়ছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, একবার কোনো হিমবাহ সম্পূর্ণ গলে গেলে সেটি আবার ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। ভেনেজুয়েলার ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও স্লোভেনিয়াও ভবিষ্যতে হিমবাহশূন্য দেশ হয়ে উঠতে পারে।

তারা সতর্ক করে বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ দ্রুত কমানো না গেলে শতকের শেষ নাগাদ বিশ্বের ২০ থেকে ৮০ শতাংশ হিমবাহ বিলুপ্ত হতে পারে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow