গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১৯ জন কারাগারে

4 months ago 67

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাচন সহিংসতা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কোচাশহর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডলসহ ১১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামিরা জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. নাজমুল হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ খানুন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, উপজেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিন লেলিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য জলিল, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশাদুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রোকন আকন্দসহ মোট ১১৯ জন।

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১৯ জন কারাগারে

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান মিজান।

তিনি বলেন, আদালতে আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। অথচ ভোটের দিন বেলা ১১টায় ঘটনার কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকলেও কোনো আলামতও জব্দ করা হয়নি। কিন্তু এসব বিষয় আমলে না নিয়ে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১৯ জন কারাগারে

মামলায় বাদী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চালকালে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধানের (মোটরসাইকেল) কর্মী-সমর্থকরা তার বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধণ করেন। এসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তার দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ২৫ মে রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন তিনি।

আদালতে শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ভবেশ চন্দ্র জাগো নিউজকে বলেন, একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আদালত ১১৯ জনের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের জেরেই বাদী শহিদুল ইসলাম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলাটি করেন। আসামিদের জামিনে জেলা জজ আদালতে আবেদন করা হবে।

এনআইবি/এমএস

Read Entire Article