গাইবান্ধায় ৩ বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১০নং কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরে তাদের পদ স্থগিত সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন- উপজেলার ১০নং কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ শওকত আলী মানিক, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।
তথ্যটি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় কামারপাড়া ইউনিয়নের ওই তিন নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শাহ শওকত আলী মানিকের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন মুক্তা কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন নিতে আসেন। এ সময় সার্ভার সমস্যার কারণে দায়িত্বরত সচিবের কাজ করতে বিলম্ব হয়। এতে নিলুফা ইয়াসমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শহিদুল ইসলাম সোনা, সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর দলবল নিয়ে পরিষদে হামলা করেন।
এ সময় সচিবকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন তারা। এতে আব্দুল গণি আকন্দসহ অন্যান্য গ্রামপুলিশ পরিস্থিতি থামাতে গেলে পরিষদের সদস্য হারুন মিয়ার ভাই হুমায়ুন আহমেদ উত্তেজিত হয়ে আব্দুল গণি আকন্দকে মারধর এবং ঘুষি দিয়ে তার নাক ফাটিয়ে দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
এ বিষয়ে কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এআরএম মাহফুজার রহমান কালবেলাকে জানান, ঘটনার সময় তিনি পরিষদে ছিলেন না। গ্রামপুলিশকে মারধর ও সচিবকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানানো হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার কালবেলাকে বলেন, কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সৃষ্ট ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।