গাজা থেকে দ্রুত জিম্মি মুক্তির তাগিদ রাশিয়ার

1 day ago 3

ফিলিস্তিনের গাজায় জিম্মি থাকাদের দ্রুত মুক্তির তাগিদ দিয়েছে রাশিয়া। বলেছে, হামাস যোদ্ধাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে মনোযোগী হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানায় রয়টার্স। 

সোমবার একজন জ্যেষ্ঠ রাশিয়ান কূটনীতিক ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পর গোষ্ঠীটির হাতে আটক একজন রাশিয়ান জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভের সঙ্গে মস্কোতে হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুকের ওই আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে জিম্মি মুক্তির কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের তাগিদ দেওয়া হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে আবারও জোর দিয়ে বলা হয়েছে- গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকা রাশিয়ান নাগরিক এ. ট্রুফানোভ এবং অন্যদের মুক্তির বিষয়ে হামাস নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আন্তঃ-ফিলিস্তিনি ঐক্য অর্জনের স্বার্থে যথাযথ কাজ চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। ওই সময় কিব্বুৎজ থেকে অপহৃত হওয়ার পর গাজায় এখনও বন্দি থাকা জিম্মিদের একজন আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ। ট্রুফানোভকে তার মা, দাদি এবং বান্ধবীসহ অপহরণ করা হয়েছিল। হত্যা করা হয় তার বাবাকে। পরে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। এ যুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৪৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। 

১৯ জানুয়ারি গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এরপর শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা গাজায় ফিরতে শুরু করেন । সে সঙ্গে হতাহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে অনুভূত হয়। এমন সময় মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ আহতদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে। এ তালিকায় জাপানের নাম যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।

Read Entire Article