গাজা সিটি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে গণহত্যা ও জবরদস্তি বাস্তুচ্যুতির নতুন ঢেউ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
রোববার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, দক্ষিণ গাজায় তাঁবু ও অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়সামগ্রী পাঠানোর ইসরায়েলের উদ্যোগ মানবিকতার ছদ্মাবরণে এক নির্মম অপরাধকে আড়াল করার কৌশল। হামাস আরও বলেছে, এই পরিকল্পনা স্পষ্ট প্রতারণা এবং এর মাধ্যমে ইসরায়েল আসন্ন দমন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার থেকেই তারা দক্ষিণ গাজায় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁবু ও আশ্রয়সামগ্রী পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেনাবাহিনীর দাবি, লড়াই চলমান অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ।
ইসরায়েল এর আগে চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, তারা গাজার বৃহত্তম নগর কেন্দ্র উত্তর গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে নতুন সামরিক অভিযান চালাবে। এ পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে, বিশেষ করে ২২ লাখ মানুষের বসবাস করা গাজা উপত্যকার ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। এখনো ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় অবশিষ্ট ৫০ জন জিম্মির মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত রয়েছেন।
জবাবে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে, তাতে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে সেখানে দুর্ভিক্ষ, ব্যাপক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি এবং অবকাঠামোর ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম