গাজার শাসনভার নিয়ে ফ্রান্সের নতুন বার্তা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসনভার নিয়ে নতুন মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার শাসনভার হামাস বা ইসরায়েল- কোনো পক্ষের হাতে থাকবে না।
সোমবার (৭ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যাখোঁ বলেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস বা ইসরায়েল কোনো পক্ষের হাতে গাজার শাসনভার থাকবে না। তিনি গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কায়রোতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা বা পশ্চিম তীরে কোনো জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা অঞ্চল দখলের চেষ্টা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি- যার মধ্যে ইসরায়েলও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি আরব দেশগুলোর প্রস্তাবিত গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এটি গাজাবাসীর জন্য বাস্তবসম্মত সহায়তা এবং নতুন প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করবে। তবে গাজার শাসনে হামাসের ভূমিকা থাকবে না, ইসরায়েলেরও নয়।
গত ৪ মার্চ আরব দেশগুলোর উত্থাপিত এই পরিকল্পনায় গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
ম্যাখোঁর এই বক্তব্য ফ্রান্সের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। গাজার ভবিষ্যৎ প্রশ্নে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন, হামাসের উৎখাতের পর গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েলের ভূমিকা থাকবে। তবে ম্যাখোঁর মন্তব্যে তা প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত মিলছে।