ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় রেড ক্রসের দুই কর্মী, এক সাংবাদিক এবং বেশ কয়েকজন শিশুও নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে জানিয়েছে যে, গাজায় ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টির সম্মুখীন। এরই মধ্যে চার বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন নামের একটি শিশু খাদ্যের অভাবে মারা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার থেকে ইসরায়েল গাজায় মাত্র ১০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। গাজায় যে পরিমাণ খাদ্য সরবাহ করা প্রয়োজন তার তুলনায় এটা খুবই সামান্য।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫৩ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন আহত হয়েছে। তবে সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ এখন আর বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গাজায় নয় হাজারের বেশি শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
- আরও পড়ুন:
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী চিকিৎসকের ৯ সন্তান নিহত
- গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা, চাপ বাড়লেও থামছে না ইসরায়েল
- গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের
ইসরায়েল যদি সামরিক অভিযান বন্ধ না করে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ওপর আরোপিত অবরোধ পুরোপুরি না তুলে নেয়, তাহলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক বারবার করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে গাজায় অনেক মানুষ খাবার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
টিটিএন