ইরানের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেও গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করেনি ইসরায়েল। সমানতালে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায়ও হামলা চালিয়ে গেছে দখলদার বাহিনী। গাজার বিভিন্ন চিকিৎসা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় নতুন করে আরও কমপক্ষে ৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৬ জন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার রাফায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে ২৭ জন প্রাণ হারায়।
দখলদার বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে এখন পর্যন্ত বহু ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তার প্রধান এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে এক হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে। সেখানে আরও ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খান ইউনিসের দক্ষিণে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকেও একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে। আল জাজিরার হানি মাহমুদ গাজা শহরের উত্তরে অবস্থিত বিভিন্ন শহর এবং দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ থেকে রিপোর্ট করেছেন যে, গাজা শহরের একটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে আসা লোকজনও নিহত হয়েছেন।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হতাহতদের আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেখানকার জরুরি বিভাগ অকেজো হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই চিকিৎসা সেবার অপেক্ষায় মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এপিকে জানিয়েছেন যে, মানুষ যখন ত্রাণের ট্রাকের দিকে এগিয়ে আসছিল তখন ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে। আহমেদ হালাওয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এটি একটি গণহত্যা, আমরা যখন পালিয়ে যাচ্ছিলাম তখনও ট্যাঙ্ক এবং ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়েছে।
টিটিএন