গাজায় ঝড়ের তাণ্ডব, বিপর্যস্ত জনজীবন
গাজায় তাণ্ডব চালিয়েছে শীতকালীন ঝড় বাইরন। এর ফলে আরও দুঃসহ হয়ে উঠেছে উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবন। তীব্র শীত ও টানা বৃষ্টির মধ্যে পানিবন্দি হয়ে রাহাফ আবু জাজার নামে আট মাস বয়সী শিশু মারা গেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার খান ইউনিসের একটি তাঁবুতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির মা হিজার আবু জাজার বলেন, রাতে তিনি শিশুকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর জেগে দেখেন বৃষ্টির পানি আর ঠান্ডা হাওয়া তাকে ভিজিয়ে দিয়েছে। ঠান্ডায় হঠাৎই মেয়েটা মারা যায়।
ঝড় আর বৃষ্টিতে গাজায় শত শত হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ নাজুক তাঁবুতে আশ্রয় নিয়ে আছে। ঝড়ের রাতে গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫০০-এর বেশি ফোনকল পেয়েছে। গাজা সিটিতে তিনটি ভবন ঝড়ের আঘাতে ধসে পড়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে তাঁবু, কম্বল, উষ্ণ পোশাকসহ শীতকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তে আটকে রয়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) জানিয়েছে, অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার ৬০০টি তাঁবু গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে। যার মাধ্যমে প
গাজায় তাণ্ডব চালিয়েছে শীতকালীন ঝড় বাইরন। এর ফলে আরও দুঃসহ হয়ে উঠেছে উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবন। তীব্র শীত ও টানা বৃষ্টির মধ্যে পানিবন্দি হয়ে রাহাফ আবু জাজার নামে আট মাস বয়সী শিশু মারা গেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার খান ইউনিসের একটি তাঁবুতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির মা হিজার আবু জাজার বলেন, রাতে তিনি শিশুকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর জেগে দেখেন বৃষ্টির পানি আর ঠান্ডা হাওয়া তাকে ভিজিয়ে দিয়েছে। ঠান্ডায় হঠাৎই মেয়েটা মারা যায়।
ঝড় আর বৃষ্টিতে গাজায় শত শত হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ নাজুক তাঁবুতে আশ্রয় নিয়ে আছে। ঝড়ের রাতে গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫০০-এর বেশি ফোনকল পেয়েছে। গাজা সিটিতে তিনটি ভবন ঝড়ের আঘাতে ধসে পড়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে তাঁবু, কম্বল, উষ্ণ পোশাকসহ শীতকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তে আটকে রয়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) জানিয়েছে, অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার ৬০০টি তাঁবু গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে। যার মাধ্যমে প্রায় ৮৮ হাজার মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব। অথচ এলাকায় ১২ দশমিক ৯ লাখ মানুষ আশ্রয়ের প্রয়োজনের মধ্যে আছে।
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বি’তসেলেম জানায়, শীত-সহায়তাবাহী ৬ হাজার ৫০০-এরও বেশি ট্রাক ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষায় সীমান্তে আটকে আছে।
ইউনিসেফ প্যালেস্টাইনের যোগাযোগ প্রধান জোনাথন ক্রিক্স জানান, উপত্যকায় সংকটের মাত্রা অত্যন্ত ভয়াবহ। তিনি সতর্ক করেন, শিশুদের খালি পায়ে জলকাদায় হাঁটতে হচ্ছে, যা ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
গাজা সিটি থেকে আলজাজিরার হানি মাহমুদ জানান, ঝড় তীব্র হওয়ায় মানুষ উপকূল এলাকা ছেড়ে তুলনামূলক নিরাপদ ভবনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে যে সব দুর্ভোগে মানুষ আছে, তার সঙ্গে প্রকৃতির আরেকটি নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, আরও শিশু হাইপোথার্মিয়ায় (অতি ঠান্ডায়) মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। উষ্ণ পোশাক, তাঁবু ও আশ্রয় সামগ্রী জরুরি ভিত্তিতে গাজায় প্রবেশ করাতে হবে।