গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন কমলা

1 month ago 11

গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে বৈঠক চলাকালে নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করেন কমলা।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরে কমলা হ্যারিস বলেন, গাজার দুর্ভোগ নিয়ে আমি চুপ থাকবো না। সময় এসেছে, এই যুদ্ধ বন্ধ করার। বিশ্লেষকদের দাবি, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কমলা ইসরায়েল ইস্যুতে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হলো। একই সঙ্গে তার এই তীক্ষ্ণ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবিলা করবেন সে বিষয়টিও পরিষ্কার হয়েছে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব কমলা বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: 

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিক হয়েও গাজাবাসীর সীমাহীন দুঃখ,কষ্ট নিয়ে অকপটে মন্তব্য করে কমলা। গত নয় মাসে গাজায় যা ঘটেছে তা বিধ্বংসী। মৃত শিশুর ছবি দেখেছি, ক্ষুধার্ত মানুষ নিরাপত্তার জন্য কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে তা দেখছি। দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে তারা। এই ট্র্যাজেডিগুলো নেওয়ার মতো না। আমি গাজা উপত্যকার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নেতানিয়াহুর কাছে গভীর উৎকণ্ঠা জানিয়েছি।

কমলা হ্যারিস বলেন, যুদ্ধ বন্ধের সময় এসেছে। এটি এমনভাবে শেষ করার সময় এসেছে, যেখানে ইসরায়েল নিরাপদ থাকবে, সব জিম্মি মুক্তি পাবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ শেষ হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চর্চা করতে পারবে।

আরও পড়ুন: 

এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরায়েলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম সরাসরি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে। তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির অনেকটা কাছাকাছি আছি, যা আগে ছিলাম না।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

Read Entire Article