গাজায় ২৩৩ ইমামকে হত্যা, ৮২৮ মসজিদ ধ্বংস

2 weeks ago 11
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। লক্ষ্যবস্তুতে পড়েছে মসজিদ, গির্জা এবং ধর্মীয় নেতারা। ফলে অনেক পাড়া-মহল্লা এখন উপাসনালয়হীন হয়ে পড়েছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় চলমান আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জন ইমাম ও ইসলাম ধর্মের প্রচারক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস এবং আরও ১৬৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় ৩টি চার্চ ধ্বংস হয়েছে এবং ২১ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান নিহত হয়েছেন। মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল থাওয়াবতেহ আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, মসজিদ, গির্জা ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে ধর্মীয় কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, ইমাম ও আলেমরা জাতীয় পরিচয় শক্তিশালী রাখতে, ঈমান জাগ্রত রাখতে এবং সামাজিক সংহতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের হত্যা মনোবল দুর্বল করার পাশাপাশি ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ নিস্তব্ধ করার চেষ্টা। আল থাওয়াবতেহ আরও জানিয়েছেন, শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অতীত, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী, এসব স্থানে ইচ্ছাকৃত হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত। এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’র। রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না’।  পৃথক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, বৈঠকে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার নানা বিষয় এবং ইরানের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বৈঠকের আগে কোনো সাংবাদিকের প্রশ্ন নেওয়া হয়নি। এছাড়া সা’র যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টি নোমের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে। গত মে মাসে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসে দুই কর্মী নিহত হওয়ার পর তিনি নোমকে ইসরায়েলে আতিথ্য দিয়েছিলেন। সূত্র : ডেইলি সাবাহ  
Read Entire Article