গাজায় ৭০০ বছরের পুরোনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিলো ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে ১৩শ শতাব্দীতে নির্মিত ঐতিহাসিক মসজিদটি।
কয়েকদিন ধরে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হচ্ছে গাজা সিটি। ইসরায়েলি বাহিনীর প্রবল বোমাবর্ষণ ও গুলির মুখে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, হয়তো আর কখনো ফেরা হবে না ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ঘরে।
আরও পড়ুন>>
- গাজা সিটি খালি করতে হামলার গতি বাড়ালো ইসরায়েল, একদিনেই নিহত ৪৯
- ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর গাজা সিটিতে বোমা ফেলছে ইসরায়েল
- ফিলিস্তিনিদের আক্ষেপ/ পশুরাও আমাদের চেয়ে ভালো জীবন কাটাচ্ছে
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনারা বোমাবর্ষণের পর ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। ওই দিনই অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় সড়কে পালানোর চেষ্টা করা একদল মানুষের গাড়িতেও হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিন শহরের অন্তত ১৭টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব তুফাহ্ এলাকায় অবস্থিত ৭০০ বছরের পুরোনো আল-আয়বাকি মসজিদও রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় মসজিদটি গুঁড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
The footage shows the moment Israeli aircraft bombed and destroyed the minaret of al Aybaki Mosque in the al Tuffah neighbourhood in Gaza.
The mosque was built by the Mamluks in the late 13th century pic.twitter.com/9KRZ85Mm6a
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ লিখেছেন, ‘গাজা জ্বলছে।’ মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড মনিটর জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৫টি বিস্ফোরকভর্তি রোবট ব্যবহার করছে, যা একেকটি সর্বোচ্চ ২০টি বাড়িঘর ধ্বংস করতে সক্ষম।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন মঙ্গলবার বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যা ছাড়া আর কিছু নয়। এতে অন্তত ৬৪ হাজার ৯৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলি নেতৃত্বের ‘বিশেষ অভিপ্রায়’ স্পষ্ট।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধ নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং আইনি দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য। ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ডসহ বহু দেশ ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিনস এমনকি ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের কথাও তুলেছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা, টিআরটি ওয়ার্ল্ড
কেএএ/