গানের মাস্তানের আজ চলে যাওয়ার দিন
‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও করি প্রেমের তর্জমা’-গানের সুরে তালে প্রেমের নতুন গল্প তুলে ধরেছিলেন তিনি। নিজেকে ‘এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোনো মাস্তান’ দাবি করে প্রেয়সীর কাছে একটু আশ্রয় খুঁজেছেন তিনি। আবার প্রেমিকার দিকে অভিমান ছুঁড়ে বলেছিলেন, ‘পাগল রাগ করে চলে যাবে/ খুঁজেও পাবে না, পাগল কষ্ট চেপে চলে যাবে/ ফিরেও আসবে না’। তিনি খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরী। আজ ১৯ নভেম্বর নষ্ট শহর ছেড়ে সেই পাগল প্রেমিকের চলে যাওয়ার দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে মাত্র ৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সঞ্জীব চৌধুরী। বাংলা ব্যান্ডসংগীতের ভুবনে তার অনুপস্থিতি এখনো গভীর শূন্যতা হয়ে আছে। আরও পড়ুনউর্দু ভাষার মানুষ হয়েও তিনি আজ বাংলা গানের কিংবদন্তিজুলফিকার রাসেলের কথায় প্রকাশ হলো জুবিন গার্গের নতুন গান হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্ম সঞ্জীব চৌধুরীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। ছাত্রজীবনেই লেখালেখি, গান আর সংস্কৃতিচর্চায় হয়ে ওঠেন সক্রিয়। ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার কণ্ঠ ছিল তুমুল উজ
‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও করি প্রেমের তর্জমা’-গানের সুরে তালে প্রেমের নতুন গল্প তুলে ধরেছিলেন তিনি। নিজেকে ‘এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোনো মাস্তান’ দাবি করে প্রেয়সীর কাছে একটু আশ্রয় খুঁজেছেন তিনি। আবার প্রেমিকার দিকে অভিমান ছুঁড়ে বলেছিলেন, ‘পাগল রাগ করে চলে যাবে/ খুঁজেও পাবে না, পাগল কষ্ট চেপে চলে যাবে/ ফিরেও আসবে না’। তিনি খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরী। আজ ১৯ নভেম্বর নষ্ট শহর ছেড়ে সেই পাগল প্রেমিকের চলে যাওয়ার দিন।
২০০৭ সালের এই দিনে মাত্র ৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সঞ্জীব চৌধুরী। বাংলা ব্যান্ডসংগীতের ভুবনে তার অনুপস্থিতি এখনো গভীর শূন্যতা হয়ে আছে।
আরও পড়ুন
উর্দু ভাষার মানুষ হয়েও তিনি আজ বাংলা গানের কিংবদন্তি
জুলফিকার রাসেলের কথায় প্রকাশ হলো জুবিন গার্গের নতুন গান
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্ম সঞ্জীব চৌধুরীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। ছাত্রজীবনেই লেখালেখি, গান আর সংস্কৃতিচর্চায় হয়ে ওঠেন সক্রিয়। ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার কণ্ঠ ছিল তুমুল উজ্জীবনী।
বাপ্পা মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে ‘দলছুট’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘আহ’ প্রকাশের পর থেকেই দলছুট বাংলা ব্যান্ডসংগীতে নতুন সুরের ধারা তৈরি করে। সঞ্জীবের কণ্ঠের সরলতা, গানের কথার গভীরতা আর নিখাদ আন্তরিকতা দ্রুতই শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়।
‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায়’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘তোমাকেই বলে দেব’, ‘এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোনো মাস্তান’- এমন আরও বহু গান আজও শ্রোতাদের আবেগ ছুঁয়ে যায়। শহরের একাকিত্ব, সম্পর্ক, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ও জীবনঘন অনুভূতির গল্প তার লেখনীতে নতুন রূপ পায়।
‘আহ’ অ্যালবামের সাফল্যের পর দলছুট উপহার দেয় ‘হৃদয়পুর’ (২০০০), ‘আকাশ চুরি’ (২০০২) ও ‘জোছনা বিহার’ (২০০৭)। প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতার হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে। ২০০৫ সালে বের হয় তার একক অ্যালবাম ‘স্বপ্নবাজি’।
কিন্তু ‘জোছনা বিহার’ প্রকাশের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই ঘটে দুঃসংবাদ। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন সঞ্জীব। দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর আগে নিজের দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করেন।
বাংলা গানপ্রেমীরা আজও তাকে স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধায়। তার সুরে, কথায়, মন ভরানো নস্টালজিয়ায় তিনি বেঁচে রইবেন যুগ থেকে যুগে।
এলআইএ/এএসএম
What's Your Reaction?