গাবতলীতে টিকিটের জন্য হাহাকার, হাজারো মানুষের যাত্রা অনিশ্চিত

3 months ago 25

বেলা বাড়ার সঙ্গে গাবতলীতে বেড়েছে মানুষের চাপ। কাউন্টার আছে, টিকিট নেই। যাত্রী আছে, যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। পারিবার-পরিজন বিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টার ঘুরে অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াচ্ছেন। লোকাল বাস বা পিকআপ যা পাচ্ছেন উঠে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় এ চিত্র দেখা গেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের সড়কে।

দেখা গেছে, বেশিরভাগ কাউন্টারে লোক নেই। কয়েকটিতে লোক থাকলেও বিক্রির মতো টিকিট নেই। গাড়িগুলো ঢাকায় ঢুকে আসাদগেট থেকে ঘুরে পথে পথে পূর্বের টিকিট কাটা যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছেন।

হাজারো মানুষ এসে ভিড় করলেও টিকিট দিতে পারছে না কাউন্টারগুলো। বাধ্য হয়ে গাবতলী লিংক, রইছসহ রাজধানীর বিভিন্ন লোকাল গাড়িতেও দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে উঠছেন। অনেককে দেখা গেছে পিকআপ বা ট্রাকেও উঠতে।

গাবতলীতে টিকিটের জন্য হাহাকার, হাজারো মানুষের যাত্রা অনিশ্চিত

আতিক নামের একজন পরিবার নিয়ে যাবেন বগুড়া, কিন্তু টিকিট পাননি। গরমে ঘেমে অস্থির এই নাগরিক জানালেন, করুণ অবস্থা। কোথাও টিকিট পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন

রহমত উল্লাহ নামের একজন বলেন, ভাই কোথাও থেকে পারলে টিকিট নিয়ে দেন। পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ছি।

তবে যারা একা এসেছেন, কেউ লোকালে কেউ ট্রাকে করেই চলে যাচ্ছেন।

যাত্রীর এ চাপ ও গাড়ির সংকটের মধ্যে যুক্ত হয়েছে সড়কের যানজট। গরুর হাটে পশু প্রবেশ ও বাইরের বিশাল সারি। এ চাপ চলে এসেছে সড়কেও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কাজী বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, ১২টার গাড়ি এখন সাড়ে ৩টায়ও আসতে পারেনি। সড়কে যানজট। আমাদের শিডিউলের গাড়ি, অনলাইনে টিকিট বিক্রি শেষ। আজকে নতুন যাত্রী নেওয়া সম্ভব না। অতিরিক্ত গাড়ি নেই।

রইছের সুপারভাইজার বলেন, আমরা মানুষের চাপের কারণে নিয়ে যাচ্ছি বগুড়া। ৯০০ টাকা করে নিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাড়া হিসাব করে তো লাভ নাই। স্বাভাবিক ভাড়া বড় কোম্পানির ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আমরা তো যাবো নিয়ে, আসবো খালি।

এসইউজে/বিএ/এমএস

Read Entire Article