ঝালকাঠির রাজাপুরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে সোনা ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কালবেলা পত্রিকার রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি গোপাল কর্মকারসহ আহত হয়েছেন একজন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের বাজারের দক্ষিণ মাথা এলাকার কামারপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হেলমেট পরা দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাংবাদিক গোপাল কর্মকারের বাম পায় ও তার মোটরসাইকেলে থাকা রতনের বাম হাত জখম হয়েছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার সোনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী গোপাল কর্মকার জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের মতো টাকা ও গহনাসহ প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রতন নামে এক আত্মীয়কে নিয়ে দুজনে মিলে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদরের বাজারের দক্ষিণ মাথা এলাকার কামার পট্টিতে এলে হেলমেট ও কালো জ্যাকেট পরিহিত কয়েক যুবক রাস্তার মধ্যে একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে রেখে তার গতি রোধ করে পেপারে মোড়ানো ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় এবং আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জখম হন। তবে আহতদের গায়ে সোয়েটারের কারণে এবং ধারালো অস্ত্রে পেপার মোড়ানো থাকায় প্রাণে রক্ষা পান তারা।
তিনি আরও জানান, আশপাশের লোকজন তাদের ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে আসা শুরু করলে দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তার সাথে থাকা দুটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দ্রুত লোকজন এগিয়ে আসায় পকেটে থাকা টাকা ও সোনাভর্তি ব্যাগ নিতে পারেনি। দুর্বৃত্তদের নিয়ে যাওয়া ব্যাগ দুটিতেও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিল। পরিস্থিতি দেখে পাখি নামে এক ব্যক্তি গোপাল কর্মকারকে রক্ষার জন্য পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে দুর্বৃত্তদের লক্ষ করে ফুলের টব ছুড়ে মারলে দুর্বৃত্তরা দুটি মোটরসাইকেলে করে দুদিকে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপজেলা শাখার সভাপতি সঞ্জয় কর্মকার জানান, গোপালের উপরে এর আগেও একবার আক্রমণ হয়েছিল। গত সন্ধ্যা রাতে শহরের মধ্যে এমন ঘটনায় উপজেলার সোনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গুলিবর্ষণকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে রাতেই পুলিশ পরিদর্শন করে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।