রাজধানীর গুলশান থানাধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত কনস্টেবলের বড় ভাই বাদী হয়ে ঘাতক কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আসামি করে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২।
রোববার (৯ জুন) মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
- গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
- পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত কনস্টেবল আটক
- ‘কনস্টেবলের গুলিতে কনস্টেবল নিহত’ যা বললেন আইজিপি
- ‘শালা নাটক করতাছে’ কনস্টেবল মনিরকে গুলির পর কনস্টেবল কাউসার
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরেকজন আরোহী পথচারী হয়েছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় সোয়াত টিম। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঘাতক কনস্টেবলকে হেফাজতে নেয় গুলশান থানা পুলিশ।
শনিবার (৯ জুন) দিনগত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
টিটি/বিএ/এএসএম