রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় চার সন্তানের এক মায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী সিফাত আলীসহ (৩০) নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহতের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নিহত গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার (২৫) স্বামী সিফাত আলীকে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমান।
তিনি বলেন, নিহত কেয়ার মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। মামলা নিহতের স্বামী সিফাত এবং তাদের গাড়িচালকসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি সাজ্জাদ বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী তার স্ত্রী কেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোনকল করে স্বজনদের জানিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত নারীর ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানান- কেয়া খুবই অসুস্থ। আপনারা বাসায় আসেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে সিফাত একপর্যায়ে স্বীকার করেন যে ‘কেয়া আর বেঁচে নেই’।
এরপর নাজমা বেগম স্বামীসহ দ্রুত ওই বাসায় পৌঁছান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত সেখান থেকে উধাও হয়ে যান।
পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
টিটি/এসএনআর/জিকেএস