গোপালগঞ্জ জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন গ্রেফতার

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকার আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিনা খন্দকার আন্না শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ টিপু সুলতান সাহাবুদ্দিন আজমকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছিলেন। রোববার আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। একই দিনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে সাহাবুদ্দিন আজমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এস এম শরীফুল। তবে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাহাবুদ্দিন আজম আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। জুলাই আন্দোলনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের সময় তিনি আদাবর এলাকায় সক্রিয় ছিলেন ও গারমেন্টস কর্মী রুবেল নিহতের ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৫ আ

গোপালগঞ্জ জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন গ্রেফতার

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকার আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিনা খন্দকার আন্না শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ টিপু সুলতান সাহাবুদ্দিন আজমকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছিলেন। রোববার আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

একই দিনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে সাহাবুদ্দিন আজমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এস এম শরীফুল। তবে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাহাবুদ্দিন আজম আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। জুলাই আন্দোলনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের সময় তিনি আদাবর এলাকায় সক্রিয় ছিলেন ও গারমেন্টস কর্মী রুবেল নিহতের ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত দিনে আদাবরের রিংরোড এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রতিবাদী মিছিল বের হয়। অভিযোগ রয়েছে, বেলা ১১টার দিকে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওইসব মিছিলে গুলি চালান। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এমডিএএ/এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow